মোটর সাইকেলের ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানুন
১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায় ২০২৫মোটরসাইকেলের বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে আজকের এই সাইটটিতে পড়তে এসেছি। কিন্তু কোন মোটরসাইকেল বেশি সুবিধা অসুবিধার কার্যকর জানেন কি? জানতে হলে এখনি একবার কনটেন্টটি পড়ে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মোটর সাইকেলের ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা বিস্তারিত প্রক্রিয়াজেনে নিন
- মোটরসাইকেল চালার নিয়ম
- পুরাতন মোটরসাইকেল কোন জায়গায় পাওয়া যায়
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার টেকনিক
- মোটর সাইকেলের লক খোলার নিয়ম
- মোটরসাইকেল কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়
- মোটরসাইকেল ক্রয় করে উন্নতি কেমন হয়
- মোটরসাইকেল এর সুবিধা
- মোটর সাইকেলের অসুবিধা
- মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সঠিক রাখার পদ্ধতি
- পরিশেষে আমাদের ব্যক্তিগত মতামত
মোটরসাইকেল চালার নিয়ম
হেলমেট পরিধান করুনঃ হেলমেট মাথা ও মস্তিষ্কের সব সময় ভালো মানের সুরক্ষা দিয়ে থাকে তাই এটি নিয়মিত ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ব্যবহার করুন।
লাইসেন্স একটিভিঃ মোটরসাইকেল চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধভাবে থাকা বাধ্যতামূলক। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স কে সংরক্ষণ করুন।
গতি নিয়ন্ত্রণঃ রাস্তার অবস্থানে ও ট্রাফিকের নিয়ম অনুযায়ী মোটরসাইকেল গতি নিয়ন্ত্রণ করুন। সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বেশ কিছু সুবিধা পাবেন।
ট্রাফিক সিগন্যালঃ ট্রাফিক সিগনালকে অনুসরণ করে মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং ট্রাফিক সিগন্যালের নিয়ম মেনে চলুন।
নিরাপত্তা বোঝায়ঃ সামনে এবং পিছনে কোন প্রকার গাড়ি রয়েছে কিনা সেটিকে নির্বাচন করে মোটরসাইকেল চালাতে অভ্যাস করুন। এটি করে আপনার সব সময় নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
আরো পড়ুনঃ ১ হাজার ডলার দিয়ে প্রতিদিন ইনকাম করার পদ্ধতি
ব্রেক সঠিকভাবে ব্যবহারঃ জরুরি অবস্থায় ব্রেক ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে একটি সময় নির্ধারণ করে ব্রেক ব্যবহার করুন।
দ্রুত চালার চেষ্টাঃ যেকোনো পরিস্থিতিতে বা অতিরিক্ত চাপে মোটরসাইকেল দ্রুতগতি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা সতর্ক থাকবেন। কারণ এই অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ওভার টেকিং সতর্কঃ অন্যান্য গাড়ি বা যানবাহনকে ওভারটেক করা যাভে কিনা নিশ্চিত হয়নিন। নিরাপদ স্থান বা সময় পাওয়া যাচ্ছে, কিনা তারপর ওভারটেক করার জন্য প্রস্তুত হয়ে নিন।
পুরাতন মোটরসাইকেল কোন জায়গায় পাওয়া যায়
শোউরুম পজিশনেঃ শোউরুমে বেশ কিছু গ্রাহক থাকে অথবা অন্য জায়গায় পুরাতন মোটরসাইকেলগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়। তবে যদি কোন প্রকার নিয়মিত প্রথম মানুষগুলো ক্রয় করার জন্য ব্যক্তি পেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো অল্প দামে বিক্রি করে দেয়।
বাজারে রিচার্জঃ ধৈর্য সহকারে যদি বাজারে রিচার্জ করা যায় তাহলে অবশ্যই পুরাতন মোটরসাইকেলের শোউরুম খোঁজ পাওয়া যায়। অথবা কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করার মাধ্যমে খুব সহজেই পুরাতন মোটরসাইগুলো শোউরুমে পাওয়া যেতে পারে এজন্য টিকে থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার টেকনিক
সঠিক গাড়ি চালানোর প্রস্তুতিঃ মোটরসাইকেল কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং কোন পদ্ধতিতে কাজ করে এ সমস্ত টেকনিক জানার দরকার। যেমন স্টাডিং, গিয়ার, ব্রেক, এবং ক্লাস ইত্যাদি বিষয়বস্তুগুলো জানা দরকার।
সঠিক জায়গায়র মানচিত্র জানুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য পরীক্ষার রুটিন স্থানটি চিহ্নিত করুন কারণ বিভিন্ন জায়গায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা স্থাপন করা হয়।
গাড়ির আয়নাঃ মোটরসাইকেল চালানোর আগে আয়নাটি সঠিকভাবে স্থাপন করুন বা দেখে নিন। এটি আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সাহায্য করতে পারে এবং পেছনের গাড়িগুলো কে দৃশ্য আকারে দেখা যায়।
গাড়ি চালানোর পদ্ধতিঃ গাড়ি চালানোর সঠিক পদ্ধতি এবং মৌলিক কার্যক্রম গুলো জেনে রাখুন যেমন ব্রেক, কেয়ার এবং ক্লাস ইত্যাদি। এগুলোকে সম্পূর্ণভাবে জানিয়ে রাখুন।
দ্রুত গতির পরিবর্তনঃ প্রাথমিক অবস্থায় দ্রুত গতি পরিবর্তন বা ডিয়ার পরিবর্তন থেকে বিরত রাখবেন। এবং সেটি ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিবর্তন করুন। তাহলে আপনার যথেষ্ট পরিমাণে চর্চা হয়ে যাবে।
সাবধানতা অবলম্বনঃ গাড়ি চালানোর সময় সড়কে চিহ্নিত করুন। এবং সড়কে কিভাবে এগিয়ে যেতে হয় সেটি আস্তে আস্তে চিহ্নিত করতে শিখুন।
গাড়ি পার্কিংঃ গাড়ি পার্কিং কিভাবে করতে হয় সেটি প্রয়োজনীয়ভাবে শিখিয়ে নিন। এবং আস্তে আস্তে সেটি অভ্যাসে পরিবর্তন করুন।
ড্রাইভিং পরীক্ষাঃ গাড়ি ড্রাইভিং পরীক্ষার সময় সব দিক দিয়ে এনালাইসিস করতে হবে। এবং চারপাশে দিকনির্দেশনা করে গাড়ির ড্রাইভিং পরীক্ষায় শুরু করতে হবে।
গাড়ির ব্রেকঃ গাড়ি চালানোর সময় কিভাবে ব্রেক ব্যবহার করতে হয় এবং এটি কিভাবে চাপতে হয়।সেটি সঠিকভাবে শিখিয়ে নিয়ে অভ্যাসে পরিবর্তন করুন।
গতিসীমাঃ গাড়ি চালানোর সময় অথবা বাইক চালানোর সময় সড়কের গতিসীমা কে অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে গতিকে কমিয়ে নিন।
ট্রাফিক আইনঃ ট্রাফিক কিভাবে কার্যকারিতা হয় এবং এটি কিভাবে কাজ করে থাকে, কিভাবে মান্য করতে হয়, কিভাবে বোঝা যায় ট্রাফিক সিগন্যাল ইত্যাদি বিষয়বস্তুগুলো জেনে তারপর অভ্যাস করুন।
সিগন্যালঃ সিগন্যাল এর গুরুত্ব বুঝুন। ডানে এবং বামে রাস্তা পরিবর্তন করলে কিভাবে সিঙ্গেল প্রদর্শন করতে হয়। সেটি বুঝিয়ে রাখুন প্রয়োজনে রিচার্জ করা শুরু করে দিন।
সাইকোলজিঃ মাথা ঠান্ডা ও ধৈর্য সহকারে গাড়ি চালান। এবং উত্তেজনা বা অস্থিরতার কারণে যে কোন প্রকার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। তাই এটিকে শুনে রেখে গাড়ি চালানো উচিত।
ইমার্জেন্সি ব্রেকঃ বিশেষ পরিস্থিতিতে অথবা উত্তেজনা কারণে ইমারজেন্সি মোটরসাইকেল এর ব্রেক শিখুন। এটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করবে।
গতিনিয়ন্ত্রণঃ বাইকের দ্রুত গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গিয়ার সিস্টেমকে ভালো করে বুঝুন। প্রয়োজনে নিয়মিতভাবে প্র্যাকটিস করুন এবং আস্তে আস্তে অভ্যাস করুন।
চাকার অবস্থান নির্ধারণঃ বাইক চালানোর সময় চাকার অবস্থা ভালো মতো করে বুঝুন। অন্যথায়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই এটি কে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
মোটরসাইকেলের লক খোলার নিয়ম
লক সিস্টেমঃ মোটরসাইকেলের লক সিস্টেম সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে ধারণা নিন। যেমন চাবি, ইলেকট্রনিক লোক, কম্বিনেশন লক, ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝুন।
চাবি বা কোড সঠিক ব্যবহারঃ লক খোলার জন্য সঠিক চাবি বা কোড ব্যবহার করতে শিখুন। কারণ ভুল ত্রুটি চাবি বা কোড ব্যবহার করলে কোন পজিশনের মধ্যে লক খোলার জন্য সক্ষম হয় না।
চাবি সঠিক স্থাপনঃ লকের মধ্যে সঠিকভাবে চাবি স্থাপন করেছেন, কিনা সেটি ধৈর্য সহকারে দেখে নিন। কারণ অর্ধেক অংশ অনুপ্রবেশ থাকলে লক খোলার জন্য প্রস্তুত হয় না।
লক পরিচ্ছন্নঃ লক খোলার আগে সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা আবর্জনা জমে থাকলে লক খোলা অসম্ভব কার্যকর হয়।
চাবিতে আঙ্গুলের চাপঃ লক খোলার সময় চাবিতে অতিরিক্ত পরিমাণে শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ অতিরিক্ত শক্তি চাবিতে প্রয়োগ করলে চাবি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
লক পজিশনঃ যদি লক সহজভাবে না খুলে, তাহলে লকটি হালকা ভাবে একে অপরের দিকে পজিশন চেঞ্জ করে চেষ্টা করুন।
চাবির ময়লা পরিষ্কারঃ চাবিতে বেশ কিছু ময়লা জমে থাকার কারণে লক সিস্টেম বন্ধ থাকতে পারে, তাই চাবিটি যথেষ্ট পরিমাণে পরিষ্কার করে নিন।
লক সিস্টেম পরীক্ষাঃ লক যদি খুলতে সমস্যা হয়, লোকটিকে যথা সময়ে অথবা ধৈর্য সহকারে পরীক্ষা করে নিন। কারণ কখনো কখনো ভিতরে বেশ কিছু ময়লা জমে থাকার কারণে সমস্যা হতে পারে।
কম্বিনেশন লকঃ কম্বিনেশন লক খোলার জন্য সঠিকভাবে পিন কোডটি ব্যবহার করুন। কারণ পিন নাম্বারের একটি অংশ ভুল হলে লক খোলার জন্য প্রস্তুত হবে না।
ভুল চাবি ব্যবহারঃ যদি সঠিক চাবি না হয়, অন্য চাবি দিয়ে লক খোলার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে চাবি বা লক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
শক্তি প্রয়োগঃ লক খোলার জন্য ও একটি শক্তি প্রয়োগ করবেন না। কারন অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করলে চাবি ভেঙে যেতে পারে।
আস্তে করে চাবি ঘোরানোঃ চাবি ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে লক খোলার জন্য চেষ্টা করুন। তবে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করানো উচিত নয়।
লক থেকে চাবি দ্রুত বেরঃ চাবি লক থেকে খুব দ্রুত বের করবেন না, এটি লক বা চাবির ভেতরের অংশকে নষ্ট করে দিতে পারে।
মোটরসাইকেল কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়
নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিংঃ মোটরসাইকেল যেকোনো ওরাাকাঙ্খিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাঁচাতে, নিরাপদ এবং ছায়াযুক্তির স্থানে পার্ক করুন। এখানে সূর্যের অতিরিক্ত তাপ এবং বৃষ্টি পড়তে না পারে। তাই মোটরসাইকেল সংরক্ষণ করতে বিষয় বস্তুগুলো মান্য করে চলুন।
রক্ষাকারী কভার ব্যবহারঃ মোটরসাইকেল বাহিরে পার্ক করলে কভার ব্যবহার করবেন। যাতে ধুলাবালি বৃষ্টি এবং সূর্যের অতিরিক্ত তাপ সংস্পর্শ না হয়। তবে সব সময় কভার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে কভার ব্যবহার করা উচিত।
টায়ার প্রেসার নির্ধারণঃ টায়ারের প্রেসার সঠিকভাবে পরীক্ষা ও নির্ধারণ করবেন। কারণ টায়ারে অতিরিক্ত চাপ বা কম চাপে বেশ কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই প্রতিনিয়ত ভাবে এই কাজটি পরিচালনা ও চেক করা দরকার।
আরো পড়ুনঃ ব্যাংকে টাকা জমা না রেখে বাড়িতে জমা করে ইনকাম করার উপায়
ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষাঃ ব্রেক সিস্টেম কে নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে নিন। কারণ যেকোনো সময় অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে সেটি দ্রুতভাবে মেরামত করে নিন। এবং মোটরসাইকেলটি কে সঠিক পর্যায়ে রাখুন।
চেইন পরিষ্কারঃ চেইন সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং তেল জাতীয় পদার্থ দিয়ে মেরামত করুন। এবং এটি চালানোর সময় সহায়ক হবে। অন্যভাবে, জীর্ণতা কমাবে। তবে এই কার্যটি কয়েকদিন পরপর করা উচিত। তাহলে মোটরসাইকেলের চেইন সঠিক থাকে।
নিয়মিত মোটরসাইকেল ব্যবহারঃ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত বা সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য নিয়মিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করুন। তবে দীর্ঘ সময়ে ব্যবহার করতে না পারলে মোটরসাইকেলের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
গিয়ার ও ক্লাস সিস্টেম পরীক্ষাঃ গিয়ার ও ক্লাস সিস্টেমকে প্রতিনিয়তভাবে পরীক্ষা করুন। যদি কোন প্রকার ত্রুটি দেখা দেয় তাহলে মেরামত সেন্টারে গিয়ে কার্য সম্পন্ন করুন। তবে অল্প সমস্যায় যদি ঠিক করা না হয়। সেক্ষেত্রে, আস্তে আস্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন।
মোটরসাইকেল ক্রয় করে উন্নতি কেমন হয়
সময় সাশ্রয়ঃ মোটরসাইকেল ক্রয় করে দ্রুতভাবে এবং সময়ের অপচয় কম করে যে কোন স্থানে পৌঁছানো যায়। এবং কার্যক্রমে আরো বেশি সময় দিতে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করে। তাই আমরা মোটরসাইকেল ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারি।
স্বাধীনতা অর্জনঃ ব্যক্তিগতভাবে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করলে অন্যান্য জায়গায় ও যেখানে খুশি সেখানে পৌঁছানোর জন্য অবস্থান হয়। এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে মন চাইলে আরো অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারি।
অর্থ সঞ্চয়ঃ দৈনন্দিন রিক্সায় বা গণপরিবহন এর তুলনায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত করলে বেশ কিছু অর্থ সঞ্চয় হতে পারে। এবং গণপরিবহনের চেয়ে অর্থ কম খরচ হয়।
দ্রুত নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোঃ শহরে ট্রাফিক এর মধ্যে যানবাহনের কারণে মোটরসাইকেল যথেষ্ট পরিমাণে কার্যকরী ফলে নির্দিষ্ট স্থানে অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছানো যায়। এবং কার্যকারিতা গুলো সঠিক সময়ে পালন করা সম্ভব হয়।
জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিঃ ব্যক্তিগতভাবে একটি মোটরসাইকেলের ক্রয় করা থাকলে যে কোন স্থানে আনন্দের সহিত পৌঁছানো যায়। যেমন বন্ধুর সাথে ভ্রমণ, শপিং ইত্যাদি কার্যগুলো আনন্দ করে এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করে সুন্দরভাবে কাটানো যায়।
ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিঃ মোটরসাইকেল নিয়মিত চালানোর মাধ্যমে চালক সড়ক ট্রাফিক আইন, নিরাপত্তার দিক, দিকনির্দেশনা, ইত্যাদি দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই যে কোন পরিচয় একটি কার্যের জড়িত থাকলে অবশ্যই সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ আতা ফলের ঔষধি উপকারিতা
নতুন অভিজ্ঞতাঃ মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা গুলোকে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে যার জীবনের অভিজ্ঞতাকে দক্ষতা অর্জন করার জন্য সমৃদ্ধ করে। তাই এটিকে কাজে লাগিয়ে ভ্রমন করতে পারি।
অতিরিক্ত আয়ের পদ্ধতিঃ বাইক চালানোর মাধ্যমে অনলাইনে ডেলিভারি, রাইট শেয়ারিং বা ফুড ডেলিভারি ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারে।
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ অতিরিক্ত সহকারে বাইক চালালে কিছু পরিবারের স্বাস্থ্য পরিশ্রম হতে পারে। তবে পরিশ্রম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী।
ভ্রমণের আনন্দঃ মোটরসাইকেল দিয়ে ভ্রমণ করার খুবই উপভোগ্য। কারণ এটি প্রকৃতির মাঝে সবুজ ফসলের অনুভূতি নিয়ে অনেক বেশি আনন্দদায়ক উপভোগ করা যায়।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিঃ নিজস্ব বাইক চালানোর মাধ্যমে দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। এবং বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য অনুভূতি প্রকাশ পায় ধন্যবাদ।
মোটরসাইকেল এর সুবিধা
মোটরসাইকেল এর সুবিধাঃ
- দ্রুত চলাচলঃ মোটরসাইকেল যেকোনো জায়গায় দ্রুত ভাবে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়।
- নির্বিঘ্ন চলাচলঃ মোটরসাইকেলটি সংক্ষিপ্ত রাস্তা দিয়ে চলতে সক্ষম হয় এবং অল্প সময়ে সঠিক স্থানে পৌঁছে দিতে অধিক পরিমাণে কার্যকারিতা আসে।
- কম খরচঃ অল্প পরিমাণে খরচ বহন করে যে কোন স্থানে পৌঁছানো যায়। তাই এটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
- পুনরায় সঞ্চয়ঃ মোটরসাইকেলটি ছোট হওয়ায় অল্প পরিমাণের জায়গাতে পার্কিং করা যায় ফলে স্থানের সাশ্রয় কম হয়।
- স্বাধীনতা প্রদানঃ দীর্ঘ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য এবং ভ্রমণ করার জন্য মোটরসাইকেলটি স্বাধীনতা ভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে।
- গতি ও মজাঃ বাইকটি প্রচুর পরিবারের গতিতে চালানো সক্ষম হয় এবং অন্যদিকে বাইক চালানোর উত্তেজনা মজা পাওয়া যায়।
- স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়কঃ বাইক চালানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উপকরণ ও শরীর কে সক্রিয়ভাবে থাকা যায়।
- কন্ট্রোলঃ বাইকের গতিকে সহজসাধ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। তাই এটি মানুষের পক্ষে ব্যবহারের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে।
- নিরাপত্তাঃ মোটরসাইকেল চালানোর সময় যদি নিরাপদ সামগ্রী গুলো পরিধান করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেফটি আকারে গ্রহণযোগ্য হয় যেমন হেলমেট জুতা হ্যান্ডগ্লাস ইত্যাদি।
- সামান্য জ্বালানিঃ মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ছোট হওয়ায় এটিতে তেল কম খরচ হয়। ফলে অন্যদিকে অর্থের কম খরচ হতে সাহায্য করে।
- মনোযোগঃ মোটরসাইকেল চালানোর সময় একান্ত মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। যা অন্য যানবাহন থেকে ভিন্ন রকমের হয়।
- সুন্দরভাবে ফিটঃ কোন জায়গায় বা কম স্থানে মোটরসাইকেলটি পার্কিং হওয়া।
- গাড়ির তুলনায় সস্তাঃ মোটরসাইকেল কিনতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে গাড়ির তুলনায় অধিক পরিমাণের কম খরচ হয়ে থাকে।
- বিশেষ ডেলিভারিঃ ছোট ছোট পণ্য বা ডেলিভারি সেল দেওয়ার জন্য বিশেষ কার্যকরী হয়।
- আনন্দজনক যাত্রাঃ বাইক চালানোর সময়ে সমস্ত প্রকৃতির আবহাওয়া একান্ত মানে উপভোগ করা আনন্দ পরিদর্শন করা যায়।
মোটরসাইকেলের অসুবিধা
মোটরসাইকেল এর অসুবিধাঃ
- অসাবধানতাঃ যেখানে সেখানে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িটি স্থাপন করলে, যে কোন সময়ে চুরির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই প্রতিটি বিষয়ে সতর্ক থাকুন এবং সাবধানতা অবলম্বন করে, নিজেকে যানবাহন চালাতে অভ্যাসে পরিবর্তন করুন।
- নিরাপত্তাহীনতাঃ মোটরসাইকেল চালানোর সময় কোন প্রকার দুর্ঘটনায় জড়িত হলে মোটরসাইকেল চালক অধিক পরিমাণের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যাঃ ঠান্ডা তাপমাত্রা বা বৃষ্টি অধিক পরিমাণে হয়ে থাকলে বাইক চালানোর সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
- যান্ত্রিক ত্রুটিঃ মোটরসাইকেলের যান্ত্রিক ত্রুটি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে মোটরসাইকেলটি ডাউন হতে পারে।
- কম পরিবহন ক্ষমতাঃ মোটরসাইকেলটি ছোট হওয়ায় অল্প পরিমাণের বহন বা গাড়ির তুলনায় মালামাল কম স্থাপন করা যায়।
- বাইকের অবস্থাঃ খারাপ রাস্তার মাঝে মোটরসাইকেল চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
- হেলমেটের প্রয়োজনীয়তাঃ হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো খুবই বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায় এবং প্রায় আইনগত বাধ্যতামূলক থাকে।
- বৃষ্টি ও ঠান্ডায় অসুবিধাঃ ভারী বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল চালানো অনেক কষ্টকর ও বিপদজনক।
- দীর্ঘ যাত্রায়ঃ দীর্ঘ যাত্রায় মোটরসাইকেল চালানো শারীরিকভাবে অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
- নিরাপত্তা প্রযুক্তিঃ গাড়ির তুলনায় মোটরসাইকেলে আধুনিক নিরাপত্তা কম।
- পুরনো মোটরসাইকেলঃ পুরনো মোটরসাইকেলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রাংশ গুলো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
- তেল খরচ বৃদ্ধিঃ দীর্ঘ যাত্রায় অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে মোটরসাইকেল চালানো হলে অধিক পরিমাণে তেল খরচ হয়।
- বাইকে বসানোঃ দুই থেকে তিনজনের চেয়ে অধিক পরিমাণের ব্যক্তি বসানোর জন্য সক্ষম হয় না।
- গরমের সমস্যাঃ মোটরসাইকেল চালক গরম আবহাওয়ায় মোটরসাইকেল চালালেই ভোগান্তিতে সমস্যা হতে পারে।
- বাইক পরিবহনঃ অতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল পরিবহনের সময় মোটরসাইকেলের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- ঝুঁকিঃ রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝুঁকি থাকতে পারে।
- অভিজ্ঞতার অভাবঃ নতুন মোটরসাইকেলের চালকরা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা বা দুর্ঘটনার সমস্যা হতে পারে।
- ইন্সুরেন্স খরচঃ অনেক ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইন্সুরেন্স খরচ বেশি হতে পারে।
- শারীরিক ব্যথাঃ একে একে দীর্ঘ সময় মোটরসাইকেল চালানোর ফলে পিঠ ঘাড় বা হাতের ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
- মৌলিক ঝুকিঃ মোটরসাইকেল এর সাথে অন্যান্য যানবাহন ঘর্ষণের ঝুঁকি থাকে, যা মারাত্মক পরিমাণের ক্ষতিগ্রস্ত হতে সক্ষম হয়।
মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন সঠিক রাখার পদ্ধতি
তেল পরিবর্তনঃ মোটরসাইকেলের নিয়মিত আকারে তেল পরিবর্তন করুন এবং সবসময় পরিষ্কার তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে ইঞ্জিন অনেকভাবে সুরক্ষিত থাকবে।
তেলের চলাচল চেকঃ তেল যে স্থান থেকে প্রতিনিয়ত ভাবে চলাচল করে সেই স্থানটি চেক করুন।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কারঃ এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও সঠিক অবস্থানে বজায় রাখুন। অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা আবর্জনা জমে থাকলে ইঞ্জিনের গতি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
চেইন টানঃ চেইন যথাযথভাবে টান রাখুন। অনেক বেশি চেইন টান দিলে ভেঙ্গে যেতে পারে। এবং অল্প পরিমাণে টান করলে স্লিপ করে দিতে পারে। তাই মিডিয়াম পর্যায়ে মেরামত করুন।
প্লাগ কেবলঃ স্পার্ক প্লাগ এর সাথে সংযুক্ত ক্যাবল ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
আরো পড়ুনঃ কি কি বিষয়ে উদ্যোক্তা হওয়া যায়
গিয়ার পরিবর্তন চেকঃ গিয়ার পরিবর্তন করার জন্য ঠিকঠাকমতো যন্ত্রাংশ গুলো কার্যকরছে কিনা এটি ভালোভাবে চেক করুন। প্রয়োজনে মেকানিক্যাল অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন।
নিয়মিত সার্ভিসঃ মোটরসাইকেল কে নিয়মিতভাবে সার্ভিসিং করুন। যাতে ছোটখাটো বিষয়গুলো বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় এবং ইঞ্জিন সঠিক অবস্থায় থাকে।
পরিশেষে আমাদের ব্যক্তিগত মতামত
আজকাল মোটরসাইকেলের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে চাহিদা বাড়ছে, এবং এটি গুরুত্ব সহকারে প্রতিনিয়তভাবে চাহিদা দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি মোটরসাইকেল সুরক্ষিত ও সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়া উচিত।
তবে মোটরসাইকেলের সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য ও নতুন টিপস জানতে চাইলে একই সঙ্গে ওয়েবসাইটকে ফলো করুন। এবং একটি বাইক কে কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয় ও মেরামত করার পদ্ধতি কি? কিন্তু এ সমস্ত বিষয়বস্ত আমরা উপরে চ্যাপ্টারে সম্পূর্ণভাবেই আলোচনা করেছি।
আমার মতে, মোটরসাইকেল সম্পর্কে সুন্দরভাবে ও নিশ্চিত আকারে সুবিধা অসুবিধা জানার জন্য আপনার সতর্কতা এবং সাবধানতা চেয়ে বড় অস্ত্রহ হয়। তাই সবসময় সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন এবং আপনার মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিশেষ পদ্ধতি জানার জন্য পদক্ষেপ নিন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url