OrdinaryITPostAd

কিভাবে একটি ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন করা যায়

 গরুর দুধ খাওয়ার মানব জীবনের ১৫টি কার্যকারিতাকিভাবে একটি ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন করা যেতে পারে এবং কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে এবং কি কি পদক্ষেপ নিলে সহজেই ব্যবসাটি পপুলার হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। 

কিভাবে একটি ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন

তবে আজকে এই কন্টেনে এগুলো কার্যক্রম এবং কোন কোন ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করেনি এবং কেমন অভিজ্ঞ ব্যবসা ও প্রজেক্ট এর মালিকের সাথে সংযোগ রাখা জরুরী এবং কার্যকারী সেগুলোই বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করব। তাই মনোযোগ সহকারে কন্টেনটি পড়তে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন করা হয় কার্যক্রম জানাবো

ব্যবসার কার্যকারিতা কি  

ব্যবসার কার্যকারিতা কি ? নিজের ব্যক্তিগত উপার্জন দিয়ে এককভাবে অথবা কয়েক সদস্য মিলে একটি ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব হয় তবে এই সেক্টরে ব্যক্তিগত উপার্জন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতার মালামাল ও যান্ত্রিক প্রযুক্তি সহ খাদ্য থেকে শুরু করে নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করে নিয়ে আসতে হয়। তারপর সেগুলো গ্রাহক নিজেদের চাহিদা মত নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে।

মানুষের মন মজিয়ে ও কোথায় কাজে মেইল রেখে ব্যবসা করতে হয় তাহলে প্রতিটি ব্যক্তি খুশি হয়ে ও আনন্দ লাভ করে সেই জায়গায় জিনিসপত্র বা বস্ত্রগুলো ক্রয় করার জন্য প্রতি মুহূর্তে ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকবে। সেজন্য যেসব ব্যক্তিরা কথাবার্তায় এক্সপার্ট এবং ব্যক্তিদের সাথে তার আচার-আচরণ ও নৈতিকতা গুলো মানুষের মাঝে মিল রেখে বলতে পারে আমার মতে সেই সব ব্যক্তিগুলোকে ব্যবসার জন্য দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ এন্ড্রয়েড ফোন ৪ বছর থেকে ৫ বছর সুরক্ষিত রাখার উপায়  

তবে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছি যে যেসব ব্যক্তিরা ব্যবসাকে অথবা কাস্টমার কে তার মূল্যবান জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য অবস্থান করবে সেই ব্যক্তি যেন একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও তার ব্যক্তিগত শরীরকে একটু স্মার্ট ভাবে সেজে তারপর যেন সে ব্যবসার স্থানে এসে কাজ করে।

তাহলেই সেই ব্যক্তিকে দেখে ও ব্যবসার জিনিসপত্রগুলো সৌন্দর্য উপভোগ করে গ্রাহক সেখানে আসার জন্য এবং নিজেদের নৈতিকতা ও সাজগোজ এবং নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করানোর জন্য তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করবে এবং সেই বস্তুটি যেকোনো মূল্যে নিতে বাধ্য থাকবে।   

কিভাবে ব্যবসায় কাজ করে এগিয়ে যেতে হয়

যে সমস্ত কার্যকারিতা গুলো করার মাধ্যমে এবং টেকনিকগুলো অবলম্বন করলে অবশ্যই এক ব্যবসা থেকে অন্য এক ব্যবসায় অথবা অন্যদের ব্যবসায়ীকে লিমিট ক্রস করার জন্য আমরা বিশেষভাবে বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করে অথবা কাজ করার মাধ্যমে খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারবো তবে সেটি কোন প্রকার অর্থ ছাড়া অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়ুন।

যে সমস্ত অবস্থানে অথবা শহরে ব্যবসায়ীগুলো সেরকম টেকনিক ও পদ্ধতি অথবা বিষয়বস্তুগুলো স্মরণ করে কাজ করে থাকে এবং সেই রকম করে তাদেরকে অনুসরণ করে ভিন্ন পদ্ধতিতে টেকনিক ও পদ্ধতি কাজ করে দিতে হবে তাহলে যে কোন ব্যবসায়ী রয়েছে ভিন্ন রকমের কাজ করার পদ্ধতি আজকাল মানুষজন পছন্দ করে থাকে তবে সেই টেকনিক টি যেন ইউনিক ও একটু স্মার্ট ভাবে হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই কার্যকারিতা সফল হয়ে যাবে।

তবে সব থেকে তথ্য মূলক টেকনিক হলো যদি সেই ব্যবসায়ীরার চেয়ে কম দামে মালামাল গুলো সেল দিতে পারেন সে বিষয়ে দেখা যাচ্ছে যে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে গ্রাহক ও বিক্রেতা ব্যবসার কাছে ও মালামাল ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকবে যদি অধিক পরিমাণে কমিশন না দিয়ে সীমিত আকারে কমিশন দিতে পারলেও তাতেও অনেক লাভ হয়ে থাকে কারণ সেসব ব্যক্তিরা ব্যবসার কাজে পরিচিতি লাভ করে।

প্রজেক্ট কিভাবে স্থাপন করতে হয়

  • উদ্দেশ্য নির্ধারণঃ প্রজেক্টের প্রধান আকর্ষণ ও কার্যকারিতা গুলো হল তার উদ্দেশ্য এবং কি কি কর্ম এর মাধ্যমে এই প্রজেক্টে সমাধান দেয়া হবে। 
  • পরিকল্পনা প্রস্তুতিঃ প্রজেক্ট এর জন্য খুবই স্ট্রংভাবে ও স্পষ্টভাবে পরিকল্পনা প্রস্তুতি করুন যাতে সেখানে টাইমলাইন ও কাজ করার ক্রম ধারা স্পষ্ট ও সহজ ভাবে বৃদ্ধি পায়। 
  • টিম গঠনঃ প্রজেক্ট টিকে স্ট্রং ভাবে ও কাজের সীমাবদ্ধতা বজায় রাখার জন্য দক্ষ ভাবে টিম গঠন করুন। যাতে সহজেই যে কোন ভুল ত্রুটি দেখিয়ে দিতে পারে।
  • ঝুঁকি মূল্যায়নঃ প্রোজেক্টের মাঝে যেকোনো প্রকার ঝুঁকি এবং অসম্ভব কার্য করার জন্য কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন অথবা আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর প্রতিকারমূল কার্য সম্পন্ন করুন যাতে দুষ্কৃত ব্যক্তি শাস্তি পায়।
  • কার্য পরিকল্পনাঃ প্রতিটি শ্রমিক এবং প্রতিটি চাকরির ব্যক্তিগুলো কে সুনির্দিষ্ট ভাবে তাদের কাজের মাধ্যমে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখুন। এবং অন্যদিকে গ্রাহকের নিজেদের সুবিধামতো বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরুন। 
  • মান নিয়ন্ত্রণঃ প্রতিটি শ্রমিকের ও চাকরিজীবীদের কে সমানভাবে নিজেদের অধিকার প্রত্যার্পন করুন যাতে কোন সংকোচবোধ না করে খুব সহজেই কোন ভুল ত্রুটি কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে তাহলেই একটি প্রজেক্ট সুস্থ ও স্বাবলম্বী হতে পারে।
  • জিনিসপত্র ডেলিভারিঃ প্রোজেক্টের মালামাল গুলো নির্দিষ্ট সময়ে এবং প্রতিটি মালামাল সঠিক জায়গায় অথবা অবস্থানে পৌঁছে দিন যাতে বিক্রয় তারা ধৈর্য সহকারে সেসব জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারে। 

প্রজেক্ট চালনা করতে কতগুলো শ্রমিকের প্রয়োজন হয়

একটি প্রজেক্ট সম্পূর্ণভাবে চালনা করার জন্য ও তার সঠিকভাবে অর্থ উপার্জন করার জন্য বেশ কিছু শ্রমিকের অথবা মানুষের প্রয়োজন হয় তবে যে প্রজেক্টটি কার্য সম্পন্ন হয়েছে ও তার পরিধি ও দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলে তারপর আমরা নিশ্চিন্তায় পর্যবেক্ষণ করতে পারি যে ওই প্রজেক্টটিতে কতগুলো শ্রমিকের প্রয়োজন হতে পারে। তাহলে সঠিক বিষয়টি নিতে পারব। 

 

প্রজেক্ট চালনা করতে কতগুলো শ্রমিকের

এটি সম্পূর্ণ নির্ভর নিয়ে থাকে প্রজেক্ট এর মালিকের উপর কারণ সে অল্প কিছু শ্রমিক দিয়ে নিজের প্রজেক্টকে চালনা নিতে পারে। তাই যেকোনো প্রজেক্টকে দায়িত্বশীল ও মনোযোগ সহকারে কাজ করলে সেই প্রজেক্ট এর মালিক খুশি হয়ে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার উপহার দিয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ সফটওয়্যার দিয়ে আয় করার পদ্ধতি 

 তবে বেশ প্রজেক্ট রয়েছে যেগুলোতে অধিক মানের জনসংখ্যার প্রয়োজন হয় তবে আমার মতে যে প্রজেক্টে যত বেশি মানুষ কাজ করে সেই প্রজেক্টের গুনাগুন ও ধারণক্ষমতা ও উপার্জন করার এর বেশি সামগ্রী হয়ে ওঠে যা অল্প সময়ের মাধ্যমে অধিক মানের উপার্জন করা সম্ভব তাই শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলুন যদি ইনকাম করতে চান।

 তবে শ্রমিকের তাদের ব্যবহার সামাজিকতা পরিবেশের ভারসাম্য ও আইনশৃঙ্খলা ও সমাজের মাধ্যমে অবৈধ কর্মকাণ্ড ইত্যাদি বিরত থাকলে অবশ্যই সেই শ্রমিককে কাজে নেওয়ার যোগ্য হয়।

প্রজেক্টে এ আয় বৃদ্ধি কিভাবে আসে  

  • কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিঃ যে সব ব্যক্তি কর্মে লিপ্ত রয়েছে তারা উচ্চমানের কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী যদি কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে তাহলে প্রজেক্টের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। 
  • ব্যয় নিয়ন্ত্রণঃ যে প্রজেক্টটি রয়েছে সেটি যেন নির্দিষ্ট এবং পরিমাণ আকারে ব্যয় করে কারণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ না করলে প্রজেক্ট এর ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে কারণ অধিক পরিমাণে ব্যয় করার জন্য প্রজেক্টর জমানো টাকা ব্যয় হয়ে পরবর্তীতে ঝুঁকি সম্মুখীন হতে পারে।
  • ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টিঃ ক্লায়েন্টিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী এবং তার মন মানসিকতা সন্তুষ্টির জন্য যে সমস্ত কার্যক্রম গুলো রয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে। তাহলেই ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি লাভ হবে আর পরবর্তীতে ক্লাইন্টের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে কাজ পেজে থাকবে এভাবেই প্রজেক্টের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
  • নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারঃ প্রজেক্ট এর কার্যক্রম গুলো দ্রুতভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবং অল্প সময়ে আজকে সম্পূর্ণ করার জন্য অথবা ক্লাইন্টের কাজগুলো কয়েকদিনের মাধ্যমে সাপ্লাই দেয়ার জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ তাই এটি স্থাপন করা প্রযোজ্য।
  • গুণগত মান উন্নয়নঃ পণ্যের মান দ্রুত মানে এগিয়ে নিতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে তাহলে সে প্রজেক্টের মান উন্নয়ন খুব সহজেই সরিয়ে সিটিএ হয়ে যাবে। তাই এ সমস্ত কাজগুলোর উপর গুরুত্ব সহকারে নজর ও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

কোন কোন পদ্ধতি ও কি কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন

কোন কোন পদ্ধতিঃ

  • আইনগতঃ প্রজেক্টটা চালু করে সুরক্ষিতভাবে আইনগত ব্যবস্থা ও শ্রমিকের নিরাপত্তা গুরুত্ব সহকারে দেওয়া উচিত। 
  • সুযোগঃ প্রত্যেকটি শ্রমিকের নিজের ব্যক্তিগতভাবে কিছু প্রকার সুবিধা দেওয়া উচিত তাহলে শ্রমিকরা উৎসাহ হয়ে প্রজেক্টে কাজ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকবে। 
  • আর্থিক সুবিধাঃ শ্রমিকদেরকে আর্থিক সুবিধা এবং প্রতিমাসে কিছু পরিমাণ করে বোনাস দেওয়ার মাধ্যমে তারাও সহ হয়ে কাজে আগ্রহী হবে তবে এটি কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রজেক্টে ইনকাম থাকতে হবে। 
  • ধর্মীয় উৎসবঃ প্রজেক্ট টি চালু করার মাধ্যমে শ্রমিকদের ধর্মীয় উৎসবের মাঝে কয়েক দিন ছুটি এবং কিছু পরিমাণের অর্থ বোনাস সহকারে প্রদান করা উচিত। তাহলে তারা মনে আনন্দ করে সে উৎসবটি পালন করতে পারে এবং পরবর্তীতে প্রজেক্টে কাজ করার জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। 

কি কি পদক্ষেপঃ 

  • বিরোধী কাজকর্মঃ শ্রমিকদের বিরোধীকার্য ও আইনগত বিরোধী কাজ করে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য পরবর্তীতে এই সমস্ত বিষয়গুলো ও কার্যগুলো করার জন্য সাহস ও ইচ্ছা প্রকাশ করতে না পারে।   
  • আচার ব্যবহারঃ একটি প্রজেক্টে সুন্দরভাবে সজ্জিত করার জন্য সেই শ্রমিকের সুন্দর ব্যবহার এবং তার নৈতিকতা ও সামাজিক এবং সমাজের ভারসাম্য অথবা মানসিক চিন্তাভাবনা ইত্যাদি যদি ভালো থাকে তাহলে সেই শ্রমিককে প্রজেক্টে নেওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • শ্রমিকের বস্ত্রঃ একটি প্রজেক্টে কাজ করা শ্রমিকের যদি তার পোশাক অথবা বস্ত্র সঠিক আকারে না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে দেখতে বিশৃঙ্খলা লাগে সেজন্য প্রত্যেকটি শ্রমিক যেন খুবই স্ট্রং ভাবে তাদের পোশাক ও বস্ত্রগুলো পরিধান করতে বাধ্য থাকে। 
  • শ্রমিকের কার্যঃ শ্রমিকগুলো যেন নিখুঁতভাবে কাজ করে যাতে সেই কাজগুলোর মাধ্যমে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি লেগে না থাকে কারণ কোন প্রকার ভুল থাকলে গ্রাহকগণ খুবই বিরক্তি প্রকাশ করে তাই প্রত্যেকটি কার্য সুস্থভাবে সম্পন্ন করা উচিত যাতে কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। 

অল্প সময়ে পরিচিত করার নিয়ম

  • স্পষ্ট উদ্দেশ্যঃ প্রোজেক্টের মাধ্যমে কি কি কার্যগুলো সম্পন্ন হয় এবং তার কি উদ্দেশ্য সে সমস্ত বিষয়বস্তুগুলো সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরানো উচিত। এবং নীতিমালা গুলো পুরোপুরি উপস্থাপন করে সবাইকে জানানো উচিত। 
  • পরিকল্পনা ও সময় নির্ধারণঃ একটি প্রজেক্টের সময়সূচির মধ্যে অথবা কার্যগুলোর মধ্যে পরিকল্পনা ও সময় নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্য সেজন্য নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করা অন্যদিকে সময় নির্ধারণ করে সঠিক সময়ে উপস্থিত হলে তার সৎ ব্যবহার করে কার্য সম্পন্ন করা। 
  • স্বচ্ছ যোগাযোগঃ প্রজেক্টের যে সমস্ত ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা অথবা সোশ্যাল মিডিয়াগুলো রয়েছে সে সমস্ত প্রত্যেকটি বিষয়ে গ্রাহকদের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। যাতে তারা প্রতিটি বিষয়ে জেনে যে কোন সময় সহযোগিতা নিতে পারে।
  • নেতৃত্বের দক্ষতাঃ প্রজেক্ট টিতে যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ অথবা নেতৃত্বে দক্ষতা ব্যক্তিগুলো থাকবে সে সমস্ত প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে গ্রাহকের কাছে অথবা মিডিয়াতে পরিচিত ও প্রকাশ করানো উচিত। যাতে গ্রাহক যেকোনো ব্যক্তিকে খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারে। 
  • সফল উদাহরণঃ প্রজেক্টটি যে সমস্ত কার্যক্রম করে সফলতা লাভ করেছে অথবা অর্জন করেছে সেই সমস্ত কার্যগুলো গ্রাহকের কাছে তুলে ধরানো উচিত। এবং গ্রাহকগণ এ সমস্ত বিষয়বস্তুগুলো দেখে খুবই বিশ্বাস্য করে ফেলে তাই এসব বিষয় বস্তু দেখানো খুবই জরুরী এতে করে গ্রাহকগণ বিশ্বাস করতে পারে যে সেটি অবশ্যই সঠিক প্রোজেক্ট।

ব্যবসা ও প্রজেক্টটির অভিজ্ঞতা অর্জনের উপায়

  • প্রকল্প পরিকল্পনাঃ ব্যবসা প্রজেক্টটির যথেষ্ট পরিমাণে কার্যকারিতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশেষ কার্যকরী হল পরিকল্পনা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে যেকোনো সমস্যায় সমাধান করা। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশেষ বিশেষ ব্যবসায়ীর ও প্রজেক্ট এর মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। 
  • প্রশিক্ষণ ও কর্মশালাঃ অভিজ্ঞতা অর্জনের আরো একটি বিশেষ কার্য হল প্রতিটি ব্যবসায়ীকে অথবা প্রজেক্ট এর মালিক কে যথাসময়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা দিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাহলেই ব্যবসা প্রজেক্ট এর জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন হয়।
  • মেন্টরশিপঃ অভিজ্ঞ মেন্টর এর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং যথাযথ সময়ে যোগাযোগ করার মাধ্যমে পরামর্শ নেয়ার জন্য কাজ করতে হবে তাহলেই অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব।
  • প্রাকটিক্যাল কাজঃ বাস্তব কাজ শেখানোর মাধ্যমে এবং বাস্তবতার সাথে প্রজেক্ট এর কাজ অথবা ব্যবসায় করানো যে সমস্ত কাজগুলো নিজের ব্যক্তিগত উপস্থিতিতে শেখানো হয় সেই কার্যটি সঠিক ও জীবনের উপকারিতা আসে। সেজন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য প্র্যাকটিক্যাল কাজ আবশ্যক।
  • টেকনোলজি ব্যবহারঃ ডিজিটাল টুলস ও আধুনিক টুলস গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে দক্ষতা অর্জন অথবা অভিজ্ঞতা অর্জন লাভ করা যেতে পারে কেননা আজকাল টেকনোলজির দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কার্যকর সম্পূর্ণ করা হয়।

ব্যবসা ও প্রজেক্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা  

ব্যবসা ও প্রজেক্ট এর সুবিধাঃ 

  • আর্থিক উন্নতিঃ ব্যবসা ও প্রজেক্টটি চালনা করার মাধ্যমে দেশের আর্থিক উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি করানোর জন্য বিশেষ কার্যকারিতায় লেগে থাকে তাই দেশে ব্যবসা ও প্রজেক্ট দরকার। 
  • স্বাধীনতাঃ ব্যবসা ও প্রজেক্ট নিয়ে কাজ নেওয়ার নিজের ব্যক্তিগতভাবে ও স্বাধীনভাবে কার্য সম্পন্ন করা হয় সেজন্য ব্যবসা ও প্রজেক্ট করার মাধ্যমে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
  • কর্মসংস্থানঃ ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন করার মাধ্যমে নতুন নতুন ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান উৎপাদন করা যায় যার মাধ্যমে তারা বেকার না থেকে একটি কর্মসংস্থান পেয়ে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী কার্য সম্পন্ন করতে সুযোগ লাভ করে। 
  • সৃজনশীলতাঃ সৃজনশীলতার মাধ্যমে শ্রমিকদের নতুন নতুন আইডিয়া ও উন্নত মানের চিন্তাভাবনা হয়ে থাকে এই মাধ্যমে অন্যান্য ধরনের কাজ করার জন্য নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করে থাকে।  
  • সমাজে অবদানঃ পারিবারিক উন্নয়ন সামাজিক উন্নয়ন ও নিজেদের পরিবারকে ব্যবসা ও প্রজেক্ট এর কাজ করার মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতায় উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়া তাই ব্যবসা ও প্রজেক্ট উৎপন্ন হওয়া অতি আবশ্যক এতে করে সমাজের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরি হয়।

ব্যবসা ও প্রজেক্টের অসুবিধাঃ 

  • আর্থিক ঝুঁকিঃ ব্যবসা ও প্রজেক্ট করার জন্য বিশেষভাবে আর্থিক ঝুঁকি থাকে যা কখনো লসের দিকে নিয়ে যায় আবার কখনো লাভের দিকে নিয়ে যায় তাই দুইটি খেয়ে লড়াই করে ব্যবসা ও প্রজেক্ট চালনা করে কাজ করতে হয়। 
  • সময় সাপেক্ষঃ ব্যবসা ও প্রজেক্টকে প্রচারিত করার জন্য এবং জনপ্রিয়তা লাভ করার জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে হয় তাহলেই জনপ্রিয়তা লাভ করা যায়। 
  • বাজার প্রতিযোগিতাঃ ব্যবসা প্রজেক্ট কে কার্যক্রম চালিয়ে যেয়ে বাজারে দাম অনুযায়ী কার্য পরিচালনা করতে হয়। তবে বাজারে অথবা মার্কেটে প্রাসঙ্গিকভাবে মেলে না গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে যা ব্যবসা প্রজেক্ট এর জন্য মারাত্মক ক্ষতি করে।
  • মানসিক চাপঃ ব্যবসা ও প্রজেক্ট করতে হলে কিছু প্রকার মানসিক চাপ ও যথেষ্ট পরিমাণে টেনশন থাকে। যা কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষতির কারণ হয়। 
  • টিম মেম্বারের মধ্যে বিরোধঃ প্রজেক্ট করতে হলে টিম মেম্বার গঠন করতে হয়। তবে এই টিম মেম্বারের মধ্যেই কিছু প্রকার ঝামেলা ও বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 
  • অনিশ্চয়তাঃ হাটবাজারে দামের পরিবর্তন ও অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে যেতে পারে। 
  • নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনাঃ সঠিকভাবে শ্রমিককে অথবা টিম মেম্বার কে পরিচালনা করতে হবে অন্যথায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই সব দিকেই খেয়াল রেখে কাজ করতে হয়।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

কিভাবে ব্যবসা ও প্রজেক্ট স্থাপন করা যায় ? সেই বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণভাবে আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেছি। তাই মনোযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লে যথেষ্ট পরিমাণে অভিজ্ঞতা ও ব্যবসা সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ টিপস ও টেকনিক জানতে পারবেন। তবে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বমূলক আর্টিকেল পড়তে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।    

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url