শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য পানির ব্যবহার - পানি খাওয়ার উপকারিতা
কাশির সাথে রক্ত বের হওয়ার কারণশরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য পানির ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকেই জানা উচিত। এর সাথে অবশ্যইশরীর-ও মন সুস্থ রাখার জন্য পানি সম্পর্কেও এটা পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। তা চলুন সেগুলো জেনে নিই।
আমাদের বাড়িতে যদি কোন ব্যক্তি শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য পানির ব্যবহার সম্পর্কে না জেনে থাকে। এবং পানি ব্যবহারের জন্য কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রতিটি মানুষের জেনে রাখা উচিত।
পেজ সূচিপত্রঃ পানির কার্যকারিতা গুলো জেনে রাখুন
- সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কয়েকটি অভ্যাস
- শরীর সুস্থ রাখতে পানির সঠিক ব্যবহার
- শরীর সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
- আদর্শ পুষ্টিকর খাবার
- শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের উপকারিতা
- মেডিটেশন করার নিয়ম
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কয়েকটি অভ্যাস
অভ্যাস জনিতঃ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কয়েকটি অভ্যাস আমরা সবাই সুস্থ সবল নীরোগ থাকতে চাই। এবং ভালোভাবে জীবন যাপন করতে চাই। তবুও কারো জায়গা আবার কারো পরিমিত পরিমানে পানি পান না করা কেউ তো শরীরের কথা না ভেবে খেয়ে থাকেন নিজের পছন্দমত মিষ্টি ভাজা পড়ার মতো খাবার এভাবে আমরা আমাদের সুস্থ জীবনকে অসুস্থ করে তুলতেছি। এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।
নিয়মিতঃ তাহলে চলুন সুস্থ জীবন যাপনের জন্য কয়েকটি অভ্যাস সম্পর্কে জানি। প্রথমত প্রতিদিন আপনাকে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে হবে। এভাবে নিয়মিত ঘুমাতে পারলে আপনার মধ্যে পরিবর্তন আশার পাশাপাশি আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।
শরীর সুস্থ রাখতে পানির সঠিক ব্যবহার
গ্রহণযোগ্য পানিঃ শরীরে ও মন ভালো রাখার উপায়ে অনেকেই কুয়াশার পানি পান করে বা নদীর পানি পান করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সুস্থ শরীর ও মন পেতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। পানি পান করার বিষয়টি মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টায় আড়াই লিডার থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি পান করতে হয়।
আপনি যদি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাসিমুখে দুই থেকে তিন গ্লাস পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার মুখে লেগে থাকা লালা পানির সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং খাবারে যে গুনাগুন বা পুষ্টি সেটা আপনার শরীর ভালোভাবে এডজাস্ট করে নিবে। আপনাকে অবশ্যই অল্প অল্প করে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
শরীর সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
শরীর সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনেকেই বিকেল বেলা ঘুমাই শেষ রাতে বা সকালে ঘুমাই এগুলো কোনটাই ঘুমের মধ্যে পড়ে না। আমাদেরকে ঘুমাতে হবে সৃষ্টিকর্তার নিয়ম সৃষ্টিকর্তা রাত তৈরি করে
আপনি রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারবেন ততই আপনার শরীরের জন্য ভালো এবং সকাল সকাল আপনি আপনার কাজ শুরু করতে পারবেন। সুস্থ শরীর ও মন কেন পেতে চান , আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই আমরা সবাই মনাশীল তাই প্রত্যেকটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যে কোন কাজ সুন্দর ও সঠিক ভাবে করতে হলে শরীর ও মন সুস্থ রাখতে হবে। এবং তাহলে কাজটি করা সম্ভব হবে তাই আমি মনে করি।
আদর্শ পুষ্টিকর খাবার
আদর্শ পুষ্টিকর খাবার বেঁচে থাকার জন্য শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার এবং জীবের রসালো তৃপ্তি খাবার তো আমরা সবাই খাই। কিন্তু আপনি কি খাচ্ছেন এবং খাবারটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে থাকাটা জ্ঞান থাকাটা অতি আবশ্যক। পৃথিবীতে এমন কি খাবার হয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আমরা অনেকেই জানতে চাই এমন কোন খাবার আছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টি বাড়বে। আমার জানামতে এরকম কোন খাবার নেই। তবে কিছু খাবার হয়েছে যেগুলোতে সাধারণ সাধারণ খাবারের চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। তাহলে চলুন সেই খাবারগুলোর নাম সহ বিস্তারিত তথ্য জানি।
শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের উপকারিতা
উপকারিতা নিয়ে মন্তব্যঃ শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের উপকারিতা সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ব্যায়াম অনুশীলন করার বিকল্প নেই। বিশেষ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেকটি মানুষকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সকাল কিংবা বিকেলে ব্যায়াম করা উচিত। প্রেম করলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখবে শরীর ও মন সতেজ থাকবে এবং যে কোন কাজে মনোযোগ বসবে।
হৃদপিন্ডের সুস্থতা নিয়ে কার্যঃ কাজের একাগ্রতা বাড়বে। সুস্থ হৃৎপিণ্ড এবং সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম আপনার ঘুমকে পরিপূর্ণ করে এবং ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীরের গঠন ভালো হবে , শরীরের যে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল থাকবে এবং ব্রেনের কার্যকর ক্ষমতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
ব্যায়াম করলে আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি হবে যা আপনাকে কাজ করতে সাহায্য করবে। এবং মন সবসময় প্রফুল্ল সদানন্দ ও দুশ্চিন্তাহীন মনের ভাব অধিকারী হবে। যা আপনি আপনার যেকোনো কাজকে পরিপূরক সহকারে করতে পারবেন। ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের সুস্থতা ও কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।
মেডিটেশন করার নিয়ম
মেডিটেশন নিয়ে মন্তব্যঃ মেডিটেশন করার নিয়ম আমরা যদি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে চাই তাহলে আমাদের কে অবশ্যই মেডিটেশন করতে হবে। মেডিটেশন বা ধ্যান হল এমন একটি কাজ যেখানে আপনার ফিজিকাল বডি কোন কাজ করবে না আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন হতে পারে যে আমরা মেডিটেশন কিভাবে , কখন , কোন সময় করব। ভ্যাকেশন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা সময় নেই। আপনি যে কোন জায়গায় এবং যেকোনো সময় করতে পারেন।
মেডিটেশনের কার্যকারিতাঃ কিন্তু আমি আপনাকে বলব সকালবেলা মেডিটেশন করতে। কারণ সকালের সময়টি এমন এক সময় যেখানে আপনার মাউন্ট ও ব্রেনের সব থেকে বেশি রিলাক্স অবস্থায় থাকে। মেডিটেশন করার জন্য এমন একটি জায়গা বেছে নিন যেখানে কোন শব্দ হয় না। আপনি মেডিটেশন করার জন্য যেকোনো সময় করতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো আপনার মেরুদন্ড বা ব্যাক বরণ যেন সোজা থাকে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url