OrdinaryITPostAd

লিচু গাছের সার প্রয়োগের সময় - লিচু গাছের ফলন পদ্ধতি

লিচু গাছের সার প্রয়োগের সময় এবং লিচু গাছ কোন কোন সময়ে অধিক পরিমাণে ফলন দিয়ে থাকে এবং বর্ষার সময় কোন পদ্ধতিতে চাষ করার মাধ্যমে লিসুর গাছ স্বাবলম্বী হয় এবং কি কারণে হয়ে থাকে সে সমস্ত পদ্ধতি ও টেকনিকগুলো অথবা কার্যকারিতা গুলো নিয়ে আজকের এই আলোচনা করব। 

একটি লিচুর চাড়াকে সম্পূর্ণভাবে বা সুস্থভাবে রোপন করতে চাইলে তাহলে অবশ্যই লিচু গাছের সার প্রয়োগের সময় গুলো জানতে হবে এবং এর প্রতিক্রিয়া গুলো জানা আবশ্যক। তাই এই বিষয়গুলো জানতে চাইলে আর্টিকেলটি পড়ুন।

 পেজ সূচিপত্রঃ লিচু গাছের সার প্রয়োগের সময় ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নিন

লিচুর গাছে কোন সময় সার প্রয়োগ করতে হয় 

লিচুর গাছ থেকে ফল সারানোর পরঃ লিচুর গাছ থেকে আমরা যখন ফলটি  বিক্রি করব বা সরিয়ে নিব তখন আমরা লিচুর গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করতে পারি এবং সেই সাথে সেচ দিতে পারি, যাতে  সারটি পরিপূর্ণভাবে গাছের গোড়ায় যায়। এবং গাছটি সুস্থ সবল ও পরিপূর্ণভাবে উঠতে পারবে।

বর্ষার সময়ঃ আমরা জানি বর্ষার সময় কাজগুলো অনেক সেচ পায় , এই সেচ পাওয়ার মাধ্যমে গাছের আগাছা ভালো হয় এবং গাছটির ডালে ডালে খুশি চাড়ানো  শুরু করে। এবং এই খুশির মাধ্যমে থাকে। লিচু হওয়ার সম্ভাব না থাকে আমরা যদি এই সেচের মাধ্যমে কিছু পরিমাণ সার প্রয়োগ করি , তাহলে গাছটি আরো অনেক ভালো হবে  এবং তাতে গাছটি ঝড়ে পড়বে না।

লিচুর গাছে মুকুল আসার সময়ঃ আমরা লিচুর গাছে বিভিন্ন সময়ে সার প্রয়োগ করে থাকি আমরা এবার জানবো লিচু গাছের বয়স অনুযায়ী কেমন সার প্রয়োগ করতে হয় চার থেকে ছয় বছর বয়সী গাছের জন্য গাছ প্রতি জৈব সার ১০ থেকে ১৫ কেজি ইউরিয়া ৩০০ গ্রাম টিএসপি ৬০০ গ্রাম এবং এমওপি ২০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এই সারগুলো আমরা চার থেকে ছয় বছর বয়সী গাছের মাধ্যমে প্রয়োগ করব।

মুকুল আসার আগে লিচু গাছের পরিচর্যা

পরিচর্যার টেকনিক ও কার্যকারিতাঃ লিচুর গাছে মুকুল আসার আগে অনেক ধরনের পরিচর্যা করতে হয় যা আমরা যদি ঠিকমতো লিচু গাছের পরিচর্যা গুলো করি তাহলে লিচু গাছের ফল অধিক পরিমাণে পেতে পারি মুকুল আসার আগে লিচু গাছের পরিচর্যা গুলো কিছুটা নিয়মের মধ্যে পড়ে তা আমরা যদি পালন করি। লিচু গাছের ফলন সুন্দরভাবে পেতে পারি , এবারে আমরা জানবো লিচু গাছের মুকুল আসার আগে পরিচর্যা লিচু গাছের মুকুল আসার আগে কোন প্রকার সেচ দোয়া যাবে না ও স্যার দেওয়া যাবে না।

কেননা আমরা যদি মুকুল আসার আগে সার প্রয়োগ করি তাহলে লিচু গাছের ডাল দিয়ে কচি পাতা বের হবে ,এই কচি পাতা বের হওয়ার কারণে ফুল আসে না বা ফলন হয় না তাই আমরা যদি লিচু গাছের ফলন পেতে চাই তাহলে মুকুল আসার আগে কোনো প্রকার সার কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে না। 

সদৃশ্য উপদেশঃ আমাদের আরো কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো মেইনটেইন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। যেমন লিচু গাছে মুকুল আসার আগে কিছু ধরনের পোকা আছে সেগুলো লিচুর ফল গুলোকে আক্রমণ করে যা ফুল ফল গুলো ঝরে পড়ে , এবং ফলন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তাই আমরা এই প্রতিবেদন করতে কিছু ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে পরিচর্যা করতে পারি। 

লিচু চাষ পদ্ধতি

লিচুর গাছ লাগানোঃ লিচুর গাছ লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মানতে হয় যা লিচু গাছের জন্য উপযোগী হয় আমরা যদি ৩০ থেকে ৪০ হাত দূরে লিচু গাছ লাগাতে পারি তাহলে লিচুর গাছটি বড় হলেও ফলন ভালো হবে এবং লিচু গাছটি দুরুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে আলো বাতাস ও রোদ সম্পূর্ণভাবেই সংগ্রহ করবে যা লিচু গাছের জন্য প্রয়োজন। 

লিচু চাড়ার ক্রয় বিক্রয় ও দামঃ আজকাল লিচুর অনেক ধরনের গাছ রয়েছে যা আমরা বাজারে দেখতে পাই বা নার্সারিতে দেখতে পাই। আমার জানামতে লিচু দুই প্রকার একটি চায়না থ্রি ও অপরটি বোম্বাই লিচু এই দুটি লিচুর মধ্যে  চায়না থ্রি লিচুর দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং বোম্বাই লিচুর দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এই দুটি লিচু চারার মধ্যে চায়না থ্রি লিচু অনেক ভালো এবং এর বাজারে অনেক সেল যায় ও মানুষ খেতে অনেক পছন্দ করে। 

 চায়না থ্রি লিচু চাষ পদ্ধতি

মন্তব্য ও পুষ্টিগুণ বিশ্লেষণঃ এ সমস্ত বই সামুদ্রিক লিচুগুলো খুবই এবং সুস্বাস্থ্যকে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিনের আকার হিসেবে ধারণ করতে সাহায্য করে। তবে এ সমস্ত চারা রোপন পদ্ধতি বিভিন্ন নাসারীর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও সু সম্পর্ক সম্পর্ক বজায় রেখে কার্যকারিতা চালনা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ আরামদায়ক ও লাভবান হয়ে যাওয়া যেত। তবে পরিমাণ অনুযায়ী সার কীটনাশক ও ওষুধ সেবন করতে হবে। সে সমস্ত ছাড়া গুলো কে তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে ফলনশীল হওয়ার জন্য কার্যকারিতায় এসে যেত।  

বোম্বাই লিচু চাষ পদ্ধতি 

বোম্বাই লিচু দারুন সাধ ও সুনিষ্ঠ গন্ধের জন্য দেশ-বিদেশি  বেশ জনপ্রিয় এই লিচু যা আমরা বসতবাড়ি আঙিনায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আরও বড় পরিসরে রোপন করে থাকি। আর লিচু চাষে সফলতা পেতে গেলে বেশ কিছু বিষয়ের উপরে লিচু গাছ রোপনের পূর্বে আমাদেরকে ধারণা রাখতে হবে যার মধ্যে অন্যতম হলো আমরা কোন লিচুর জাতটি রোপন করেছি এবং যেখানে এই লিচু গাছগুলো রোপন করব স্থানটির আবহাওয়া ও মাটিটা কেমন অর্থাৎ আবহাওয়া ও মাটি এই লিচুর জাতটির জন্য সুইটি বল কি না ইত্যাদি 

এ বিষয়গুলো আমাদের জানতে হবে। আর তাই আমরা আজকে বোম্বাই লিচুর সম্পর্কে আলোচনা করব প্রথমেই আমরা এই বোম্বাই লিচুর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব বোম্বাই লিচুটি মাঝারি আকার হয়ে থাকে এবং এর চামড়া লাল হয়ে থাকে এবং প্রতিটি ফলের ওজন 10 থেকে 5 গ্রাম হয়। তাই আপনি যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিচু চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি বোম্বাই লিচুর সিলেক্ট করতে পারেন। 

আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট মন্তব্যঃ এবারে আমরা জানবো কোন আবহাওয়া ও মাটি বোম্বাই লিচু চাষের জন্য উপযোগী আলো বাতাস পূর্ণ বেলে দোআঁশ মাটিতে এবং সমতল বা কিছু মাঝারি উচু জমিতে এই লিচু চাষ করার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী এছাড়াও পানি জমে না জৈব পদার্থ আছে এমন বেলে দোআঁশ মাটি লিচু চাষ করার জন্য বেশি উপযোগী এবং উষ্ণ ও আদ্র জল বায়ু ওই স্থানে লিচু চাষ করার জন্য উপযোগী। 

লিচু পাকার সময়

উপযুক্ত সময়ঃ লিচু পাকার সময় ? লিচু পাকার সময় গুলো হলো লিচু সবচেয়ে বর্ষাকালে বেশি পরিমাণ পাকে বা লাল লিচু বিভিন্ন সময়ে বা বিভিন্ন কারণেই লিচু পেকে থাকে যেমন হল অতিরিক্ত  তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে লিচু পেকে যায় আবার লিচু পাকানোর উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকালে যখন বর্ষাকাল শুরু হয় তখন তার ঠিক মাঝামাঝি লিচু পেকে যায় বা লাল হয় যা আমরা অতি সহজে খেতে পারি। 

লিচু লাগানোর আধুনিক পদ্ধতি

আধুনিক পদ্ধতি ও কার্যকারিতাঃ লিচু লাগানোর আধুনিক পদ্ধতি ? লিচু চাড়া লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার নিয়ে আমরা  চাড়া গুলো লাগাতে পারি। লিচু চাড়া লাগানোর জন্য কিছু নিয়ম পালন হয়। যেগুলো পালন করার মাধ্যমে লিচুর বাগান অনেক সুন্দর হয় এবং গাছ পরিপূর্ণভাবে হয়ে ওঠে যা ফলন আস্তে অনেক সাহায্য হয়। লিচুর চারা লাগানোর সময় লিচুর গাছগুলো  ২০ ফুট থেকে ৩০ ফুটের মতে সীমাবদ্ধ বজায় রাখবেন তাহলে গাছ লাগানোর অনেক সার্থকতা বা সফলতা আসবে এবং গাছগুলো অনেক ভালো হবে অপরদিকে ফলন ভালো হবে।     

লিচু গাছের ওষুধ

লিচু গাছ লাগানোর পর লিচু গাছের মধ্যে আমরা যে যে ওষুধ প্রয়োগ করব তা হল রিডোমিল গোল্ড   ১৬ লিটার পানিতে ৭০ গ্রাম আর ভাটি মেক ১৬ লিটার পানিতে ২৪ মিলি এবং প্লেনাম ১৬ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম এই তিন ধরনের ওষুধ গুলো একসাথে প্রয়োগ করলে লিচুর গাছের যে কচি পাতা বের হয় সেটাকে কোন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারবে না আমরা যদি এই  ওষুধগুলো ঠিকমতো স্প্রে করে থাকি তাহলে এবং এই স্প্রে করার মাধ্যমে লিচু গাছের ফলন ভালো হয়। 

এবং লিচু যখন ছোট অবস্থায় থাকে তখন আমরা  প্রোটোজিন ১৬ লিটার পানিতে ৩২ মিলি মিস্টার টপ ১৬ লিটার পানিতে ১৬ মিলি এবং ভলিউম ফ্লেক্সি ১৬ লিটার পানিতে ৮ মিলি এই তিন ধরনের ওষুধ আমরা যদি লিচুর ছোট থাকা অবস্থায় স্প্রে করে দিতে পারি তাহলে আমাদের লিচুর ফলগুলো  অনেক ভালো আকারে আকৃষ্ট হবে। এছাড়াও আমরা প্রোটোজিন , এমিস্টার টপ , এবং ভলিউম ফ্লাক্সি এই তিনটি ওষুধ দশ দিন পরে আমরা আবার স্প্রে করে দিতে পারি তাহলে লিচু গুলো  আরো মজবুত আকারে আকৃষ্ট হয়। 

লেখক এর শেষ বক্তব্য

লেখকের অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্যঃ বন্ধুরা আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি যে লিচু গাছের সার প্রয়োগের সময় , মুকুল আসার আগে লিচু গাছের পরিচর্যা , লিচু চাষ পদ্ধতি , চায়না থ্রি লিচু চাষ পদ্ধতি , বোম্বাই লিচু চাষ পদ্ধতি ইত্যাদি এসব বিষয় গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি বন্ধুরা আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন বা ফলো করবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে এই আর্টিকেলটি পড়ে তারা উপকৃত হয়। এবং ভবিষ্যতে তারাও যেন লিচুর বাগান লাগাতে পারে ও  অর্থ উপার্জন করতে পারে। তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কেননা এরকম রিলেটেড পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাথে থাকবেন।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url