সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ

সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। আপনি যদি পাইলস রোগে ভুগে থাকেন তাহলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। আপনার জীবনধারা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।
সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ
পাইলস রোগ চিরতরে দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন আলোচনা করা যাক কিভাবে খুব সহজেই চিরতরে দূর করবেন পাইলস রোগ।

পোস্ট সূচিপত্র: সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ

ভূমিকা

পাইলস হলো একটি জটিল রোগ এবং সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পাইলসকে সভ্যতার রোগও বলা হয়। পাইলসকে সভ্যতার রোগ বলার কারণ হলো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মানুষদের মাঝে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হলো তাদের জীবনযাপন ব্যবস্থা। ফাইবারযুক্ত খাবার কম গ্রহণ তেল যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া কম শাকসবজি খাওয়া ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো শহরে এলাকায় বেশি দেখা যায়। শহরে মানুষের এরকম জীবন যাপনের কারণে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে এবং আস্তে আস্তে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলস রোগ হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এর ফলে মলদ্বারের শিরা গুলো ফুলে যায় এবং শিরা গুলো ফেটে গেলে রক্তপাত হতে থাকে। এভাবেই উন্নত দেশগুলোর মানুষদের মাঝে পাইলস রোগে প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আপনারা পাইলস রোগের মুক্তির উপায় জেনে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

পাইলস কি

পাইলস বা হেমোরয়েড পায়ুদ্বারের একটি গুরুতর রোগ। এই রোগটিতে অনেক মানুষ ভুগলেও কেউ সঠিকভাবে জানেন না এই রোগটি কেন হয়। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ এই পাইলস রোগে আক্রান্ত। আমাদের পায়ুদ্বারের ভিতরে কিছু শিরা রয়েছে। আমরা অনেকদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের ভুগলে এই শিরা গুলো পায়ুপথের চাপের কারণে ফুলে যায়। শিরা গুলো ফুলে শক্ত হয়ে যায়। অনেক সময় শিরা গুলো ছিড়ে রক্তপাত হয়। আর এই বিষয়টিকে বলা হয় পাইলস বা অর্শরোগ।

পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়

কিছু লক্ষণ দেখে আমরা বুঝতে পারব পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়। আপনার পাইলস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পাইলসের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন। নিচে পাইলসের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • মলদ্বারে রক্ত জমাট বেঁধে থাকা।
  • মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ।
  • মলদ্বার ফুলে যাওয়া।
  • মলদ্বারে ব্যাথা অনুভব করা।
  • মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি হওয়া।
  • মলদ্বার নিচের দিকে নেমে আসা।
  • মলত্যাগের সময় রক্তপাত হওয়া।
  • মলত্যাগের সময় অস্বস্তি ভাব হওয়া।
  • মলদ্বারের পাশে ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া।
  • মলদ্বার ফুলে যাওয়ার কারণে পরিষ্কার করতে সমস্যা হওয়া।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনার পাইলস হয়েছে। পাইলস রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি লাভের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। 
এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।পাইলস রোগে যে সমস্যা গুলো দেখা যায় তার মধ্যে বেশি সমস্যা হয় মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার প্রধান উপায় হল কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এসব সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার পাইলস হয়েছে।

সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ

পাইলস রোগ অনেক কষ্টদায়ক এবং অস্বস্তিকর একটি রোগ। তাই এই রোগ সহজেই চিরতরে দূর করার কিছু উপায় রয়েছে। এই পোস্টে আমি কিছু উপায় বলবো। এসব উপায় অবলম্বন করে সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ বিষয়টি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং জীবনধারার পরিবর্তন করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। পাইলস রোগ দূর করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো হল।

ঘৃতকুমারী

পাইলস রোগ চিরতরে দূর করতে ঘৃতকুমারীর তুলনা হয় না। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তাই পাইলস চিকিৎসায় ঘৃতকুমারী ব্যবহার করে সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। ঘৃতকুমারীতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুনাগুন যা পাইলসের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। পাইলস নিরাময় করতে পাইলসের ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। এতে আপনার বাহ্যিক পাইলস নিরাময় হবে। আর অভ্যন্তরীণ পাইলস নিরাময় করার জন্য নিয়মিত অ্যালোভেরা খেতে পারেন। অ্যালোভেরার রস নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজমের উন্নতি হয়।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল হলো প্রাকৃতিক তেল যা পাইলসের চিকিৎসায় অনেক কার্যকরী। ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে পাইলসের ব্যথা কমে যায় এবং পাইলসের আকার কমতে থাকে। ক্যাস্টর অয়েলের রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ যা পাইলস রোগের চিকিৎসায় খুব উপকারী। আপনি প্রতি রাতে দুধের সাথে তিন মিলি ক্যাস্টর অয়েল মিশ্রিত করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে পারেন। আপনার পাইলস খুব দ্রুত নিরাময় হবে। ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই দূর করুন পাইলস রোগ।

লেবুর রস

লেবুর রসের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আপনার পাইলস রোগ নিরাময়ের সহায়তা করবে। আপনার পাইলসের চিকিৎসা করুন লেবুর রস দিয়ে। লেবুর রস ব্যবহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। লেবুর রস রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং মলদ্বারের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই আপনি পাইলস রোগ দ্রুত নিরাময় করতে আপনার খাদ্য তালিকায় লেবু যুক্ত করতে পারেন।

উইচ হ্যাজেল

উইচ হ্যাজেল ব্যবহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। পাইলস রোগ নিরাময়ে উইচ হ্যাজেল উদ্ভিদের তুলনা হয় না। এই উদ্ভিদের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যা ব্যথা এবং চুলকানি সম্পর্কিত পাইলসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদের বিভিন্ন সমস্যা বা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। উইচ হ্যাজেল সরাসরি লিকুইড হিসেবেও পাইলস চিকিৎসার ব্যবহার হয়। উইচ হ্যাজেলযুক্ত সাবান ও বাজারে পাওয়া যায়।

ইপসম সল্ট

উষ্ণ পানিতে ইপসম সল্ট যুক্ত করে গোসল করুন এতে আপনার পাইলসের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। উষ্ণ পানির সাথে ইপসম সল্ট মিশিয়ে পাইলস আক্রান্ত স্থানে লাগালে মলদ্বারের চুলকানি এবং ব্যথা কমে যায়। গোসলের সময় পানিতে ইপসম সল্ট যুক্ত করে ব্যবহার করলে পায়ুপথের পেশী প্রশমিত হবে এবং ব্যথাও শিথিল হয়ে যাবে। ইপসম সল্ট পানির সাথে ব্যবহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

চা গাছের তেল

চা গাছের তেল পাইলস রোগের চিকিৎসায় অনেক কার্যকরী। নিয়মিত চা গাছের তেল ব্যবহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। চা গাছের তেলকে মেলালেউকা তেল বলা হয়। চা গাছের তেলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুনাগুন যা পাইলস আক্রান্ত স্থানটিকে জীবাণুমুক্ত রাখে। পাইলস সংক্রান্ত স্থানে তেলের মিশ্রণটি প্রয়োগ করে ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এবং ভালো উপকারের জন্য প্রতিদিন তিনবার ব্যবহার করুন।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার পাইলস রোগের যন্ত্রণাদায়ক অংশে তুলার মাধ্যমে লাগিয়ে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। আপেল সিডার ভিনেগার সহজেই আপনার পাইলস রোগের ব্যথা এবং চুলকানি উপশম করবে। পাইলস রোগ দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার অনেক কার্যকরী। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার যুক্ত করে প্রতিদিন খেতে পারেন। দেখবেন আপনার অভ্যন্তরীণ পাইলস সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
ঘরোয়া চিকিৎসা ছাড়াও সাধারণ জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে পাইলস রোগ সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। নিচে আমরা আলোচনা করব জীবন ধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে খুব সহজেই চিরতরে দূর করতে পারেন পাইলস রোগ। জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

ফাইবার জাতীয় খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি করুন

আমরা দৈনন্দিন জীবনে ফাইবার জাতীয় খাদ্য খুব কম খেয়ে থাকি। ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয় না। আর পাইলসের প্রাথমিক ধাপ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। চিকিৎসাকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন দিনে অন্তত ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার জন্য। এর ফলে আপনার ৫০% পর্যন্ত পাইলস রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো অবশ্যই রাখবেন। ফাইবার যুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে শাক সবজি, ফল, শস্যজাতীয় খাদ্য ইত্যাদি। তাই পাইলস রোগ দূর করতে ফাইবার জাতীয় খাদ্যের ভূমিকা অনেক।

প্রচুর পানি পান করুন

পানির অপর নাম জীবন। নিয়মিত প্রচুর পানি পান করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। পানি আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখবে এবং এর ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। তাই নিয়মিত প্রচুর পানি পান করার মাধ্যমে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস থাকলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকবে না এবং আস্তে আস্তে পাইলস রোগ ও নিরাময় হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর সুস্থ এবং রোগ মুক্ত থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝরবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।

উত্তেজক খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন

উত্তেজক খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে চকলেট, ক্যাফেইন, মসলাদার খাবার, জুস ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন কারণ এই খাবারগুলোর মাধ্যমে আপনার পাইলস রোগ হতে পারে। আপনি যখন মলত্যাগ করবেন তখন আপনার মলত্যাগ প্রক্রিয়াকে কষ্টকর করবে এই খাবারগুলো। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন আপনার মলের অম্লতা বৃদ্ধি করে যে খাবারগুলো সেগুলো এড়িয়ে চলুন। তাই উত্তেজক খাবারগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

ভারী জিনিস কম উত্তোলন

ভারী জিনিস কম উত্তোলন করুন এতে আপনারা পাইলস সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন। কারণ ভারী জিনিস উত্তোলনের সাথে পাইলসের একটি সম্পর্ক আছে। তাই যতদূর সম্ভব ভারী জিনিস কম উত্তোলন করুন এতে আপনার পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই ভারী জিনিস কম উত্তোলন করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ। অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে পাইলস রোগটি হতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন। এতে আপনার পাইলস রোগের ও নিরাময় হবে।

টয়লেটে বেশিক্ষণ বসবেন না

মলত্যাগের জন্য টয়লেটে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। এতে করে আপনার পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে দেখা যায় টয়লেটে বসে ভিডিও এবং গেম খেলে। এতে অনেকক্ষণ টয়লেটে বসে থাকতে হয় যা পাইলস রোগের জন্য দায়ী। তাই প্রয়োজন ছাড়া টয়লেটে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।

দুগ্ধজাত খাবার গ্রহন কমিয়ে দিন

দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিন এতে করে আপনার পাইলস রোগ নিরাময় হবে। দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া পরিহার করুন

আমরা অনেকেই তেলেভাজা জিনিস খুব পছন্দ করি। ভাজাপোড়া বেশি খেলে আমাদের পেটে সমস্যা হতে পারে। আবার তেলেভাজা জিনিস বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আস্তে আস্তে তা পাইলস রোগে রূপান্তরিত হবে। তাই অতিরিক্ত ভাজাপোড়া পরিহার করুন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া পরিহার করে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

মাংস খাওয়া পরিহার করুন

পাইলস রোগ নিরাময়ে আপনি মাংস খাওয়া পরিহার করতে পারেন। অতিরিক্ত মাংস খেলে আমাদের মলত্যাগের সময় কষ্ট হয়। কারণ মাংস জাতীয় খাদ্য আমাদের মলকে শক্ত করে দেয়। তাই বেশি মাংস খাওয়া পরিহার করলে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। মাংস খাওয়া পরিহার এবং আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।

মলত্যাগে দেরি করবেন না

আমরা অনেকেই মলত্যাগের বেগ আসলেও মলত্যাগ করতে যায় না। আমরা মলত্যাগ না করে তা আটকে রাখি। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং এর ফলে পাইলস এর মত অস্বস্তিকর রোগ হতে পারে। তাই মলত্যাগে দেরি করবেন না। মলত্যাগের বেগ আসলেই দ্রুত টয়লেটে গিয়ে মলত্যাগ করে আসবেন। এতে করে আপনি পাইলস রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন।

কি খেলে পাইলস ভালো হয়

কি খেলে পাইলস ভালো হয় এরকম প্রশ্ন অনেক পাইলস আক্রান্ত রোগীর হয়ে থাকে। নিচে কি খেলে পাইলস ভালো হয় সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো
  • ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। যাদের পাইলস রয়েছে তারা রাতে ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে পারেন। রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং পাইলস আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে।
  • যারা পাইলস রোগে আক্রান্ত তারা বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন। কারণ পানি আপনাকে হাইড্রেট রাখবে। এবং মলত্যাগের সময় আপনার মলদ্বারে বেশি চাপ পড়বে না। এর ফলে আস্তে আস্তে আপনার পাইলস ভালো হয়ে যেতে পারে।
  • আপনারা যারা পাইলস রোগে ভুগছেন তারা ব্রেকফাস্টে ওটস খাবেন। ওটস পাইলস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
  • পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাবেন। কারণ ফলমূল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এবং ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং পাইলস রোগের উপশম করবে।
  • সর্বশেষ পাইলস আক্রান্ত রোগীরা ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। ইসবগুলের ভুসি আপনার মলকে নরম লাগবে এবং মলত্যাগের সময় মলদ্বারে বেশি চাপ পড়বে না। এর ফলে আপনি পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন।

শেষ কথা: সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ

প্রিয় পাঠক, সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পাইলস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন। পাইলস আক্রান্ত রোগীরা উপরের অনুচ্ছেদ পড়ে পাইলস থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে খুব সহজেই চিরতরে দূর করুন পাইলস রোগ।
যাদের পাইলস রোগ হয় তারাই বোঝে কত কষ্টকর এবং অস্বস্তিকর এ রোগটি। এই পোস্টটি থেকে আপনারা পাইলস রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানতে পারবেন। আমার পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের উপকার হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। ২৫৭৯২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url