শরীর চুলকানোর কারণ কী

শরীর চুলকানোর কারণ কী নিশ্চয়ই সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? 
শরীর চুলকানোর কারণ কী
শরীরের চুলকানি দূর করা সহ আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটি পড়লে। তাই চলুন চুলকানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শরীর চুলকানোর কারণ কী

ভূমিকা | শরীর চুলকানোর কারণ কী

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের শরীর চুলকানোর কারণ কী এই সম্পর্কে জানাতে চলেছি। এর সাথে সাথে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়, সারা শরীরে চুলকানি হলে কি করনীয় সহ চুলকানি সংশ্লিষ্ট আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করব। কাজেই আমাদের সকলের জন্যই এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ চুলকানি সহ বিভিন্ন রোগবালাই সম্পর্কে আমাদের প্রাথমিক ধারণা রাখা প্রয়োজন।

আর এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি শরীর চুলকানোর বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে তো পারবেনই। সাথে সাথে চুলকানোর আরো অন্যান্য বিষয়ে জানতে পারবেন। তাহলে এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এতসব বিষয়ে জানতে পারবেন। এই তথ্যগুলো জানতে হলেই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন মূল আলোচনায় ফেরা যাক।

চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আলোচনা শুরুতেই আমরা চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব। চুলকানি বর্তমান সময়ে একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সকল পরিবারই দেখা যাচ্ছে কারো না কারো চুলকানি হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের খাবার দাবার থেকে শুরু করে লাইফস্টাইল। চুলকানি বিভিন্ন রকম কারণে হয়ে থাকে। চুলকানি দূর করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে এখন আমরা জানবো আপনার যদি চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানি দূর করবেন। চুলকানির প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দিলে এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে চুলকানির সমস্যা দূরীভূত হয়।

তো চলুন কি এই ঘরোয়া পদ্ধতি চুলকানি দূর করার জন্য তা জেনে নিই। চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর প্রথমেই যেটির কথা বলব সেটি হলো লেবু। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানির সমস্যা দূর করার জন্য লেবু খুবই কার্যকর হতে পারে। আপনার চুলকানি সমস্যার আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মালিশ করুন এবং তার শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি চুলকানির সমস্যা দূরীভূত করতে সাহায্য করবে। আবার চুলকানির সমস্যা দূর করতে আর একটি যে উপাদান ব্যবহার করা হয় সেটি হলো অ্যালোভেরা জেল।

এলোভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকানির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আবার এক গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসী পাতাও চুলকানির সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু সংখ্যক তুলসী পাতা নিয়ে পানিতে জাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই নির্যাসটি ঠান্ডা হলে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিলে চুলকানি থেকে উপশম মেলে। চুলকানি দূর করার আরেকটি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে বেকিং সোডা। আমাদের রান্না ঘরের অতি পরিচিত একটি জিনিস হচ্ছে বেকিং। সোডা দিয়েও চুলকানি সমস্যা দূর করার প্রমাণ মিলেছে। আপনার চুলকানির সমস্যা হলে আপনি ঘরোয়াভাবে উপরোক্ত এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন। আশা করি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সারা শরীরে চুলকানি হলে কি করনীয়

সারা শরীরে চুলকানি হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আগেই বলেছি চুলকানি বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। প্রথমে চুলকানি শরীরের যেকোনো এক জায়গায় দেখা দেয়। তারপর পর্যাপ্ত চিকিৎসা না নিলে সেখান থেকে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। সারা শরীরে চুলকানি হলে অবশ্যই আপনার একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। যেহেতু চুলকানি বিভিন্ন বড় বড় অসুখের প্রথম উপসর্গ।

তাই প্রথমে চুলকানি হলেই প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা গ্রহণ করে ভালো করা উচিত। তা না হলে পরবর্তীতে আরো মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সারা শরীরে চুলকানি হলে আপনি বিভিন্ন রকম ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ওষুধগুলো যেন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হয়ে থাকে। কাজেই আমার পরামর্শ থাকবে আপনার সারা শরীরে চুলকানি হলে একজন ডার্মাটোলজিস্ট ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওষুধ গ্রহণ করা। আশা করি সারা শরীরে চুলকানি হলে কি করনীয় বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

শরীর চুলকানোর কারণ কী

শরীর চুলকানোর কারণ কী এই সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। প্রথমেই বলে রাখি শরীর বিভিন্ন কারণে চুলকাতে পারে। এখন সেই কারণগুলো সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে চুলকানির সমস্যা প্রত্যেক পরিবারে কম বেশি লেগেই আছে। শরীরে চুলকানি হলে এবং তা খুব তাড়াতাড়ি ভালো না করলে এখান থেকে আরও বড় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। শরীর চুলকানোর প্রধান কারণ হচ্ছে শরীরের শুষ্কতা। যাদের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক তাদের চুলকানির সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে শীতকালে যখন ত্বক আরো বেশি সুস্থ হয়ে যায় তখন চুলকানির পরিমাণ বেড়ে যায়। 

এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ক্রিম অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ সেবন করতে পারেন। আবার শরীর চুলকানোর আরেকটি কারণ হতে পারে রক্তশূন্যতা। রক্তশূন্যতা জনিত কারণেও শরীর চুলকাতে দেখা যায় বলেছে চিকিৎসকরা মনে করেন। আবার হরমোন জনিত সমস্যার কারণে ও শরীরের চুলকানি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা হলে চুলকানির সমস্যা প্রকট বেড়ে যায়। কাজেই এই বিষয়টা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে খেয়াল করবেন। এর পাশাপাশি শরীর চুলকানোর আরেকটি কারণ হতে পারে লিভারের সমস্যা। 
লিভারের সমস্যা জনিত কারণেও শরীর চুলকাতে থাকে। শীতকালের একটি পরিচিত রোগ হচ্ছে স্কাবিস। এটি একজন হতে অন্যজনের ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর রাত্রে প্রচন্ড চুলকাবে। শরীর চুলকানোর এটি একটি কারণ হতে পারে। আবার দেখা গেছে সোরিয়াসিস রোগ থেকেও চুলকানি হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন শরীর চুলকানোর অনেক রকম কারণ হতে পারে যে কথাটি প্রথমেই বলেছি। এতক্ষণ আপনাদের শরীর চুলকানোর কারণ কী? এই বিষয়ে বিস্তারিত বললাম। আশা করি আপনি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা | শরীর চুলকানোর কারণ কী

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শরীর চুলকানোর কারণ কী এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে এবং আপনি শরীরের চুলকানি হলে কি করবেন বা চুলকানোর কারণ কি এ বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করুন। তাদেরও এই চুলকানির সমস্যা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। পরিশেষে, বিভিন্ন বিষয়ের সর্বশেষ তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আজকে এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url