OrdinaryITPostAd

কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন

আপনি কি জানেন কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন সে সম্পর্কে? 

ভূমিকা

আপনার ত্বক হয়তো অনেক বেশি সুন্দর ও উজ্জ্বল, কিন্তু তারপরেও ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের কারণে সৌন্দর্যটা ঠিকভাবে ফুটে উঠছে না। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেও ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। আসলে আমাদের ত্বকে রয়েছে অসংখ্য লোমকূপ, যে লোমকূপ দ্বারা আমাদের ত্বক অক্সিজেন নেয়। কখনো কখনো অতিরিক্ত ত্বকে তেল নিঃসরণ হওয়ার কারণে লোমকূপের গোড়া গুলো বন্ধ হয়ে যায়, আবার কখনো ধুলাবালির সংক্রমণে ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর এভাবেই তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস। যেটাকে আমরা সাদা শাল ও কালো শাল বলে জানি।

আপনার চেহারায় ব্ল্যাকহেডস রয়েছে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। তবে হ্যাঁ আমরা নিত্যদিনের ব্যস্ততার কারণে অতিরিক্ত ত্বকের যত্ন, যেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন সেটা হয়তো নিতে পারি না। আর সামান্য একটু অযত্নতার সুযোগ পেয়েই আমাদের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের এর মত সমস্যা হয়ে থাকে। তবে আমরা জানব কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন সে সম্পর্কে। 

ব্ল্যাকহেডস কি?

আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে জানিনা যে ব্ল্যাকহেডস কি? আমাদের প্রত্যেকের ত্বকে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, আর সেই সমস্ত ছিদ্রগুলো বিভিন্ন রকম ধুলো, ময়লা, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। একে আমরা বলে থাকি লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া, আবার কখনো কখনো অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা হয়।

এক কথায় বলতে গেলে বিভিন্ন রকমের ধুলো, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া আটকে গিয়ে ত্বকে ব্ল্যাকহেডসের সৃষ্টি হয়। ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে থুতনিতে, কপালে, গালে এবং সব থেকে বেশি নাকে ছোট ছোট আস্তরণ দেখা যায়। আর এগুলোকেই ব্ল্যাকহেডস বলে, ব্ল্যাকহেডস কে আমরা কালো শাল বলে জানি। আপনারা জানলেন ব্ল্যাকহেডস কি? সে সম্পর্কে।

হোয়াইটহেডস কি?

হোয়াইটহেডস কি? আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হল, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা। প্রতিদিনের বিভিন্ন রকম ধুলাবালি জমাট বেঁধে আমাদের ত্বকে সৃষ্টি হয় মৃত কোষের এবং সেইসাথে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হতে থাকে, এর ফলে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এবং ত্বকে কিছুটা শালের মতো দেখা যায়, এগুলোকে বলা হয় হোয়াইটহেডস। হোয়াইটহেডস বা সাদা শাল সময়মতো পরিষ্কার করা না হলে, এরা বাতাসের সংস্পর্শে এসে ব্ল্যাকহেডসে বা কালো শালে রূপান্তরিত হয়। আপনারা জানলেন হোয়াইটহেডস কি?

কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন

ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস আমাদের ত্বকের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি সমস্যা। এ সমস্যাটি অতি স্বাভাবিক মনে হলেও, এই সমস্যা দেখা দিলে ত্বকের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যায়। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস সাধারনত ত্বক অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণেই হয়ে থাকে। আজ আমরা জানব কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন। আসুন তাহলে কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন তার কয়েকটি নিয়ম জেনে নেই।

ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে কফির ফেসপ্যাকঃ কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে কফির ফেসপ্যাক ভীষণভাবে কার্যকর। ব্যবহারের নিয়ম- প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্র নিন, 

ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন স্ক্রাবার তৈরি করুন, এরপর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার যে সমস্ত স্থানে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস রয়েছে, সে সমস্ত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। প্রায় ১০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, এটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস গুলো চলে যাবে।

ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে বেকিং সোডার ব্যবহারঃ ত্বকের যেকোন স্থানের ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে বেকিং সোডার ব্যবহার খুবই কার্যকর। ব্যবহারের নিয়ম- দুই থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা নিন এবং সেই সাথে সামান্য একটু পানি। দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে, আক্রান্ত যুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন, শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে কর্পূর ও গোলাপ জলের ব্যবহারঃ কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন, ত্বকের যত্নে গোলাপ জলের ব্যবহারের কোন জুড়ি নেই, ত্বকের যে কোন রকম সমস্যাই গোলাপ জল নিশ্চিত ভাবেই ব্যবহার করা যায়। আর ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে গোলাপ জল ও কর্পূর ব্যবহার খুবই উপযোগী।

ব্যবহারের নিয়ম- প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে ১০০ গ্রাম পরিমাণ গোলাপ জল নিন, এর সাথে ১ চা চামচ পরিমাণ কর্পূর নিন। দুটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিন, এটি দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য একটি তুলাই তৈরিকৃত মিশ্রণটি নিন এবং আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন, নিয়মিত ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে।

ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে ডিমের ব্যবহারঃ ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। ত্বকের ভেতরে জমে থাকা ধুলো, ময়লা গুলো খুব সহজেই বের করে আনা সম্ভব এবং সেই সাথে ত্বকের ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতেও ভীষণভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ব্যবহারের নিয়ম- ১ টি ডিম থেকে কুসুম আলাদা করে নিন, ডিমের সাদা অংশে লেবু ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন আবার আপনি চাইলে শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের সময় অবশ্যই মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। এটি মুখে লাগানোর পর টিস্যু অথবা পাতলা কাপড় লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলুন, এভাবে খুব সহজেই ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করা সম্ভব।

উপসংহার

আমাদের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। নিত্যদিনের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হয়, আর এ সময় আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে ফেলে ধুলাবালি ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। ধুলাবালি ইত্যাদি সংক্রমণের ফলেই ত্বকে দেখা দেয় ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস।

ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের সমস্যা থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে হলে, প্রতিনিয়তই ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি ব্ল্যাকহেডস কি? হোয়াইটহেডস কি? এবং কিভাবে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করবেন এ সমস্ত সম্পর্কে। পোস্টটি ভাল লাগলে নিচে মন্তব্য করতে পারেন ধন্যবাদ। ২৫২৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url