OrdinaryITPostAd

বুদ্ধিমত্তা কি - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি

বুদ্ধিমত্তা কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? সেই বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান যে, বুদ্ধিমত্তা কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? তাহলে মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেল নিয়ে পড়তে থাকুন। চলুন দেখে নেয়া যাক, বুদ্ধিমত্তা কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

পেজ সূচিপত্র: বুদ্ধিমত্তা কি - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি 

বুদ্ধিমত্তা কি 

বুদ্ধিমত্তা হলো: যুক্তি, বোঝার ক্ষমতা, আত্ম সচেতনতা, শিক্ষা গ্রহণ করা, পরিকল্পনা করা, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সমষ্টি। এই গুণগুলো যদি কারো ভিতরে থাকে তাহলে সে বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন। পক্ষান্তরে এই গুণগুলো কারো ভিতরে না থাকলে সে বুদ্ধিহীন বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সুতরাং উপর উল্লেখিত গুণগুলোর সমষ্টি হল বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি

তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কম্পিউটার জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং সেগুলো প্রয়োগিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ একটি প্রক্রিয়ায় কার্য সমাধা করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মডেল রয়েছে। একেক ধরনের এআই মডেল একেক ভাবে কাজ করে। 

প্রোম্পট রিসিভ: আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কোন কিছু করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি স্পেসিফিক প্রোম্পট কমান্ড করতে হবে। সেই প্রোম্পট অনুযায়ী নির্দিষ্ট এআই মডেল কার্য সমাধ করে থাকে।  
  • ডেটা কালেকশন: আপনি যখন কোন এআই মডেল কে প্রোম্পট  দিবেন, তখন সে সে অনুযায়ী স্পেসিফিক ডেটা কালেকশন করবে। ক্ষেত্রবিশেষে নিজে নিজেই সেই প্রোম্পট  প্রসেসিং করবে। অর্থাৎ যদি আপনি এ আই মডেল ব্যবহার করে কোন ফটো কিংবা ভিডিও তৈরি করতে চান,  সেক্ষেত্রে এ আই নিজে নিজেই সেই ডাটা অনুধাবন করে।
  • ডেটা প্রসেসিং: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেকোনো ধরনের আউটপুট প্রদান করার পূর্বে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ডাটা প্রসেসিং করে থাকে। এ আই মডেলের কাছে ডেটা প্রসেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।  সঠিকভাবে ডেটা আউটপুট প্রদান করা সম্ভব নয়।  এছাড়া ডাটা সঠিক না হলে ভুল উত্তর আসতে পারে। তাই এই মডেল গুলো ডাটা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
  • ফাইনালাইজেশন: ডেটা প্রসেসিং করা হয়ে গেলে আউটপুট ফাইনালাইজেশনে চলে আসে। সেখানে প্রসেসকৃত ডাটা ফাইনালাইজড করা হয়। অর্থাৎ আউটপুটের জন্য ডাটা গুলোকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়।  
  • চেকিং এন্ড এটি চেকিং: এরপর সর্বশেষ ধাপ হলো চেকিং এন্ড রি চেকিং প্রোম্পট অনুযায়ী আউটপুট ঠিক আছে কিনা তা চেকিং এবং রি চেকিং করা হয়। যদি কোন ধরনের এরর থাকে তাহলে তা দূর করে আউটপুটের জন্য ডাটা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়। 
  • আউটপুট: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আউটপুট প্রদান করা হয়। উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো খুবই দ্রুততার সাথে হয়ে থাকে। অর্থাৎ উপরে বর্ণিত ধাপগুলো অতিক্রম করতে ক্ষেত্রবিশেষে একটি এআই মডেলের সেকেন্ডের কম সময়ের প্রয়োজন হয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক কে

বুদ্ধিমত্তা কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

যাই হোক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হল জন ম্যাকার্থি। সর্বপ্রথম জন ম্যাকার্থি কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নিয়ে কাজ করেন, বিধায় তাকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো কয়েকজন অগ্রদূত রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হল: অ্যালান টুরিং, মারভিন মিনস্কি, হার্বার্ট এ. সাইমন এবং অ্যালেন নেয়েল। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য

বুদ্ধিমত্তা কি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? তাই যদি আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য সমূহ জানতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। 
  • শিক্ষা গ্রহণ এবং সংরক্ষণের ক্ষমতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এটি নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করতে পারে। পরবর্তীতে সেই বিষয় সম্পর্কে যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারে। 
  • সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। বিশেষ করে জটিল ও কঠিন গাণিতিক সমস্যাগুলো সেকেন্ডের মধ্যেই সমাধান করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। 
  • ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর ক্ষমতা: যে কোন ভাষাকে খুব সহজেই প্রসেসিং করার ক্ষমতা রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুলোকে এমনভাবে ট্রেইন করা হয়েছে, সেগুলো খুব সহজেই যেকোনো ধরনের ভাষা ডিটেক্ট ও ট্রান্সলেট করতে পারে। আর তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ট্রান্সলেটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • অটোমেশন: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পূর্ণ অটোমেশন। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে যদি আপনি কোন আউটপুট বের করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ম্যানুয়ালি কিছু করতে হবে না।  আপনি শুধু একটি প্রোম্পট সাবমিট করবেন, বাদবাকি কাজ সে একাই করে নিবে। 
  • সেলফ ইমপ্রুভমেন্ট: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি নিজে নিজেই নিজের ক্ষমতাকে করতে পারে। অর্থাৎ নিজে নিজেই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। 
  • তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেকোনো ধরনের তথ্যকে প্রসেসিং করতে পারে, এবং সেই অনুপাতে আউটপুট প্রদান করতে পারে। এটিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধ-অসুবিধা

কেননা উপরে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নিচে একটি বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধ সমূহ:
  • স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে সক্ষম।
  • সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
  • অধিক কর্মক্ষমতা সম্পন্ন।
  • প্রিডিকটিভ  এনালাইসিস।
  • পার্সোনালাইজেশন।
  • ২৪ ঘন্টা কাজ করার ক্ষমতা।
  • ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
  • কম খরচে অধিক কাজ।
  • কাস্টমার সার্ভিস।
  • গবেষণায়  সাহায্য করতে পারে।
  • যে কোন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারে।
  • ডিপ এনালাইসিস করতে সক্ষম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা সমূহ:
  • চাকরির ক্ষেত্রে কমে   যাওয়া।
  • নিরাপত্তাহীনতা।
  • প্রতিস্থাপন খরচ অনেক বেশি।
  • পক্ষপাতদুষ্ট  ফলাফলের আশঙ্কা।
  • অনুভূতি শুন্য।
  • নৈতিকতার জ্ঞান শূন্য।
  • তথ্য নির্ভর।
  • সামাজিক বন্ধন কমে যাওয়া।
  • পরিচালনা ব্যায় সাধ্য। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url