ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি - ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম
পেজ সূচিপত্র
- ব্লাড ক্যান্সার কাকে বলে
- ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম
- কিভাবে ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়
- ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি
- ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান কারণ কি
- কিভাবে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবেন
- শেষকথা
ব্লাড ক্যান্সার কাকে বলে
ব্লাড ক্যান্সার হচ্ছে এমন এক ধরনের একটা রোগ যা মানুষের শরীরের রক্তের সাথে মিশে থাকে এবং সুযোগ পেলে শ্বেত রক্ত কণিকাকে আক্রমণ করে থাকে। কিন্তু এই শ্বেত রক্ত কণিকায় আমাদের শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরিতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কিন্তু যখন এই শ্বেত রক্তকণিকা লিউকোমিয়াতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম তা বুঝে শ্বেত রক্তকণিকা গুলো তাদের সব ধরনের স্বাভাবিক কার্যক্রিয়া হারিয়ে ফেলে। ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে এবং রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ পরিস্থিতির দিকে চলে যায়। এই ক্যান্সারের সংক্রমণ এর ফলে ভিন্ন ভিন্ন রক্তকণিকা অনুচক্রিকা ও শ্বেত রক্তকণিকা এবং লিম্ফোসাইট গুলো অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।
ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম
১। মেলোমাঃ
২। লিম্ফোমাঃ
কিভাবে ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়
আপনার যখন ব্লাড ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পেতে থাকবে, তখন আপনি যদি চান ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করতে তাহলে আপনাকে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। বিশেষ করে চিকিৎসক আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে পারে। অর্থাৎ রক্ত পরীক্ষা, শারীরিক পরীক্ষা, অস্থিমজ্জা পরীক্ষা, লিম্ফ নোড নির্ণয় করতে দিতে পারে।
এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি জেনে রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা দিতে পারে যা সিটি স্ক্যান, পিইটি স্ক্যান অথবা এক্সরে এর মাধ্যমে করা হয়। আপনার রক্তকোষে শ্বেত রক্ত কণিকা এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাপের জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা হয়। আপনার রক্তে সুগার লেভেল কত হতে পারে বা কোলেস্টেরলের মাত্রা কত আছে।
প্রোটিন এবং হরমোন কি পরিমানে আছে সেই জিনিসগুলোকে পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও সাদা রক্ত কোষের সংখ্যা ও আকৃতি এগুলো পরিমাপ করা হয়।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি
ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম তার ওপর ভিত্তি করে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি জেনে একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে লিউকেমিয়ার বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় যার মধ্যে হলো -
- ধীরে ধীরে আপনার ওজন কমতে থাকবে।
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
- ঘন ঘন মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হতে পারেন।
- হঠাৎ করেই লিভার বড় হয়ে যাওয়া।
- খুব সামান্য কিছুতেই রক্তপাত হতে পারে।
- শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে আসতে পারে।
- হাড়ে ব্যথা হতে পারে বা শরীরে হালকা চাপেই ব্যথা করতে পারে।
- নাক দিয়ে খুব বেশি রক্ত ঝরতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান কারণ কি
ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো জেনেটিক সিস্টেম পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। যার ফলে মিউটেশনের মাধ্যমে শরীরের রক্তকণিকা বেড়ে যায়। প্রথম দিকে এই সমস্যাটি অস্বাভাবিকভাবে হতে থাকে।কিভাবে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবেন
আপনি যদি আপনার ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে মেনে চলতে হবে। অত্যন্ত সাবধানতার সাথে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি জেনে এবং ব্লাড ক্যান্সারের ধরন কি রকম তা জেনে প্রথম স্টেজেই ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রয়োজন। ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর বিষয়গুলো যেমন,- আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।
- নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
- ফল শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- নিজেকে সবসময় স্ট্রেস মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণের উপর বিবেচনা করে পরীক্ষা করাতে হবে।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় ত্যাগ করতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url