মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি
মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? সাধারণত অনেকেই এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ রাখতে হয়। আপনারা যারা মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? এ সম্পর্কে জানতে চান সাধারণত তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? এ বিষয়টি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি
- মাসিক বন্ধ হয় কেন
- মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
- মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি
- অনিয়মিত মাসিক এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- উপসংহার
মাসিক বন্ধ হয় কেন
অনেক মেয়ে আছে যারা মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ রাখতে চাই সাময়িক সময়ের জন্য। তবে আমরা অনেকেই জানিনা মাসিক বন্ধ হয় কেন? মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? বিষয়টি জানার আগে আমরা মাসিক বন্ধ হয় কেন সাধারণত সে বিষয়টি জেনে নেব।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার উপকারিতা কি
১। গর্ভাবস্থায় মাসিক বন্ধ হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ। যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হয় তাহলে তার মাসিক বন্ধ হওয়া স্বাভাবিক একটি বিষয়। এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। কারণ কোন মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন মাসিক প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
২। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শরীরের ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। সাধারণত আমাদের শরীর যে সকল হরমোন নিঃসরণ করে সাধারণত সেগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় মানসিক চাপ।
৩। যদি কোন মেয়ের হঠাৎ করে ওজন কমে যায় তাহলে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে আমাদের শরীরে ক্যালরির অভাব দেখা দেয় যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে কমাতে হবে।
৪। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন বৃদ্ধি পেলে আপনার শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন তৈরি করতে পারে যা মহিলাদের মধ্যে প্রজনন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। যদি অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন হরমোন আপনার শরীরে হয়ে যায় তাহলে নিয়মিত পিরিয়ডকে অনিয়মিত করে দেয়।
৫। কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এবং ঘন ঘন সময়ে ইমার্জেন্সি পিল অর্থাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এখানে দুশ্চিন্তা করার কোন বিষয় নেই যদি আপনি এটি নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন তাহলেই আপনার পিরিয়ড আবার নিয়মিত হয়ে যাবে।
মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
হঠাৎ করে বেশ কিছু কারণেই মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই মাসিক বন্ধ হয় কেন সাধারণত এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তবে আমরা সকলে জানি যে ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন নারীর মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত এই বয়সের পরে আর মাসিক হয় না। তবে মাসিক বন্ধ হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে চলুন লক্ষণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।
মানসিক পরিবর্তন -- মাসিক বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো এটি। অনেক সময় মেজাজ পরিবর্তন হয় যার ফলে বিরক্তি উদ্বেগ এবং অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মেয়েদের।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া -- যদি কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এর লক্ষণ দেখা যায় ঘুম না হওয়া অন্যতম একটি। যেখানে অনেক চেষ্টা করেও ঘুমানো সম্ভব হয় না।
শারীরিক পরিবর্তন -- মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। এর মধ্যে হঠাৎ করেই ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। কোমরের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া শরীরের জয়েন্ট গুলোতে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।
যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়া -- যদি কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে চলে আসে তাহলে এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ দেখা যায় যে যোনির পথ অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে যৌন মিলন করার সময় অনেক অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়।
মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি
অনেক মেয়ে আছে যারা বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ রাখতে চাই। সাধারণত তারাই মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। কিন্তু আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি স্বাভাবিক মাসিক বন্ধ রাখার তেমন কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে আপনার মাসিক যদি অনিয়মিত হয় তাহলে আপনার নিয়মিত তারিখ থেকে পাঁচ থেকে ছয় দিন পরে হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মহিলাদের কি কি আমল করা উচিত
তবে বাজারে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায় যেটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য সাহায্য করে থাকে। এই ওষুধ আমাদের শরীরে অ্যান্টি ফিবিনোলাইটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি আমাদের শরীরে রক্তের ক্লট গুলো খুব দ্রুত বিচ্ছিন্ন হতে বাধা দেয়। সাধারণত এটি ঘন ঘন মাসিক এর রক্তপাতকে কমিয়ে দেয়। ওষুধটি হলো ইভাস্টয়াট ৫০০ এমজি।
তবে এভাবে যদি মাসিক বন্ধ রাখা যায় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ প্রাকৃতিকভাবে মাসিক বন্ধ না হলে নিজে থেকেই কখনো ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখা যায় না। যদি আপনার সময়ের আগে মাসিক করাতে চান এক্ষেত্রে ইমারজেন্সি পিল খেতে পারেন। যারা মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? প্রশ্ন করেন তাদের জন্য নিচে কয়েকটি ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো।
- Remense Tablet
- Premolut N Tablet
- Normens Tablet
মাসিক বন্ধ করতে চাইলে আপনাকে কমপক্ষে তিন দিন আগে এই ওষুধ খেতে হবে। সর্বমোট তিনটা ট্যাবলেট আপনাকে দৈনিক সেবন করতে হবে। তবে এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়।
অনিয়মিত মাসিক এর ঘরোয়া চিকিৎসা
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সাধারণত নিয়মিত মাসিক মেয়েদের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি তারিখের চাইতে যদি আগে অথবা কয়েকদিন পরে হয় তাহলে এদিকে অনিয়মিত মাসিক বলে। তবে আপনি অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া চিকিৎসা করে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে নিজেকে বের করতে পারবেন। তাহলে চলুন অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া চিকিৎসার জেনে নেওয়া যাক।
নিয়মিত ব্যায়াম করা -- যদি আপনি অনিয়মিত মাসিক এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে শুরু করুন। কারণ ব্যায়াম হচ্ছে সুস্থতার চাবিকাঠি। যে কোন রোগ থেকে মুক্তি দিতে ব্যায়াম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এটি মেয়েদের জরায়ু সংকোচন এবং প্রসারণ করতে খুব সহযোগিতা করে।
আপেল সিডার ভিনেগার -- প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে কয়েক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করুন। এটি আপনার রক্তে থাকা ইনসুলিন এর মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয়ে যায়।
আদা খেতে পারেন -- যদি আপনি নিয়মিত কয়েক কাপ আদা চা খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার অনিয়মিত মাসিক কে নিয়মিত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। আদা কয়েক টুকরা করে ১০ মিনিট মত পানিতে সেদ্ধ করুন এরপরে প্রতিদিন তিন বেলা পান করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিক এই সমস্যা দূর করবে।
টক জাতীয় ফল খাবেন -- টক জাতীয় ফল মাসিক নিয়মিত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। টক জাতীয় ফল এর মধ্যে অন্যতম হলো তেতুল। এছাড়া আরো যে সকল টক জাতীয় ফল রয়েছে সেগুলো নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে আপনার নিয়মিত মাসিক এই সমস্যাটি দূর হবে।
মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কিঃ উপসংহার
মাসিক বন্ধ হয় কেন? মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ, মাসিক বন্ধ রাখার কোন ওষুধ আছে কি? অনিয়মিত মাসিক এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যেহেতু এ বিষয়গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত তাই উক্ত বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মহিলাদের কি কি আমল করা উচিত
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ২০৮৭৬
👍👍